রূপা হত্যা : অভিযোগপত্র শিগগিরই
তাড়াশের মেধাবী তরুণী রূপা খাতুন হত্যা ও গণধর্ষণ ঘটনার এক মাস পূর্ণ হলেও এখনও আদালতে অভিযোগপত্র দিতে পারেনি পুলিশ। তবে তদন্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শিগগিরই এ মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয়া হবে।
গত ২৫ আগস্ট শুক্রবার রাতে বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে চলন্ত বাসে রূপাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে পরিবহন শ্রমিকেরা। পরে তার লাশ টাঙ্গাইলের মধুপুর বন এলাকায় ফেলে রাখা হয়। রাতে মধুপুর থানার পুলিশ রূপার লাশ উদ্ধার করে। পরদিন টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রূপার লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ওইদিনই টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থানে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে তাকে দাফন করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর রূপার বড় ভাই হাফিজুল একটি পত্রিকায় বেওয়ারিশ লাশ দাফনের সংবাদ দেখে মধুপুর থানায় এসে বোনের লাশ শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় মামলা হলে অভিযুক্ত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে আদালতে অনুমতিতে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থান থেকে রূপার লাশ তুলে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বাবার কবলের পাশে রূপাকে দাফন করা হয়।
চলন্তবাসে ধর্ষণের পর হত্যার শিকার রূপা খাতুনের মৃত্যু আঘাতের কারণে বলে জানিয়েছেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক। তাছাড়া হত্যা করার আগে তাকে ধর্ষণের আলামত মিলেছে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর রূপার মরদেহ ময়নাতদন্তকারী টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম তার প্রতিবেদনে এ কথা উল্লেখ করেছেন।
সোমবার সকালে রূপা হত্যা ও গণধর্ষণ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা টাঙ্গাইলের মধুপুর থানার অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির আইসি পুলিশ পরিদর্শক মো. কায়ুম খান জানান, চাঞ্চল্যকর এ মামলার অভিযোগপত্র খুব শিগগিরই আদালতে দাখিল করা হবে। তিনি আরও জানান, মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এখন ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদন এলে অভিযোগপত্র দাখিল করা যাবে।
পিডিএসও/হেলাল