নিজস্ব প্রতিবেদক
শিশুকে ধর্ষণে সহায়তার পর বিয়ে, মা গ্রেপ্তার
নিজের এগার বছরের শিশু কন্যাকে ধর্ষণে সহযোগিতার পর ধর্ষকের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার এক নারীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তার স্বামী। শিশুটির মা রওশন আক্তার ও ধর্ষণে অভিযুক্ত ইয়াসিনকে গত বৃহস্পতিবার রাতে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া থেকে র্যাব গ্রেপ্তার করে বলে শেরেবাংলা নগর থানার ওসি গনেশ গোপাল বিশ্বাস জানিয়েছেন।
রাজধানীর একটি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণিপড়ুয়া শিশুটির বাবা শাহ আলম পেশায় ব্যবসায়ী। মেয়েটি তাদের একমাত্র সন্তান। ওসি গনেশ বলেন, এই ঘটনায় শুক্রবার শেরেবাংলা নগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শিশুর বাবা শাহ আলম মামলা করেছেন।
থানায় দায়ের করা অভিযোগে থেকে জানা যায়, ১৮ জুন বিকালে শাহ আলম বাসায় ফিরে দেখেন ঈদের কেনাকাটা করার কথা বলে তার স্ত্রী মেয়েকে নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে গেছেন। কিন্তু তারা বাসায় না ফেরায় ও স্ত্রীর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়ায় তিনি পর দিন তেজগাঁও থানায় একটি জিডি করেন। পরে কুমিল্লায় শশুরকে ফোন করে স্ত্রী এবং কন্যা মুন্সীগঞ্জ অবস্থান করছে জেনে র্যাবের সাহায্য চান তিনি। গত বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে গজারিয়ার বাউশিয়ায় ইয়াসিনের কথিত নানা বাড়ি থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে। ইয়াসিন ও রওশন গ্রেপ্তার হলেও এসময় ওই বাসা থেকে কয়েক জন পালিয়ে যায়। পরে শিশুটি র্যাব এবং তার বাবা শাহ আলমকে জানায়, গত ১৮ জুন তাকে নিয়ে তার মা ফার্মগেট এলাকায় যায় এবং সেখানে কয়েকজন মিলে তাকে জোরপূর্বক প্রাইভেটকারে তুলে হাতে একটি আংটি পরিয়ে দেয়।
শিশুটি র্যাবকে বলেছে, পরে নারায়ণগঞ্জ নিয়ে একটি বাড়িতে উঠে এবং সেখানে নিয়ে ইয়াসিন তাকে ধর্ষণ করে। ২১ জুন মুন্সিগঞ্জ নিয়ে স্থানীয় আলম চান ও আনোয়ারা বেগমসহ স্থানীয় মেম্বার, মৌলভী মিলে ইয়াসিনের সঙ্গে বিয়ে দেয়। এ কাজে তার মা সহায়তা করেন। শিশুটির এক স্বজন বলেন, ইয়াসিনের সাথে রওশন আক্তারের ‘অবৈধ সম্পর্ক’ ছিল। সেটা টিকিয়ে রাখতে মেয়েকে বিয়ে দিয়ে ইয়াসিনকে নিজের কাছে রাখতে চেয়েছিল। শিশুটিকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পাঠোনো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে থানা পুলিশ জানায়।
পিডিএসও/রানা