বাগেরহাট প্রতিনিধি

  ০৫ মে, ২০২০

সুন্দরবনে ৩ চোরা শিকারি গ্রেফতার

ফাঁদে আটক ২২টি জীবিত হরিণ অবমুক্ত

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের অভিযান চালিয়ে টিয়ারচর থেকে সোমবার গভীর রাতে হরিণ শিকার কালে তিন চোরা শিকারিকে আটক করেছে বন বিভাগ।

এ সময় হরিণ শিকারের জন্য বনের ভেতর পেতে রাখা হরিণ শিকারের ফাঁদে আটকে থাকা জীবিত ২২টি চিত্রল উদ্ধার করা হয়। জব্দ করা হয় ৩০ কেজি হরিণের মাংস, ৭০০ ফুট হরিণ শিকারের ফাঁদ, ৩টি ট্রলার ও ১টি নৌকা। এ সময়ে চোরা শিকারিদের ফাঁদে আটক ২২টি হরিণ সুন্দরবনে ছেড়ে দেওয়া হয়।

আটক চোরা শিকারিরা হলেন—পাথরঘাটা উপজেলার তারুকের চরদোয়ানী গ্রামের জয়নাল খার ছেলে আবুল খাঁ (৪২), একই উপজেলার কাঠালতলীর বকুলতলা গ্রামের হরিপদ মিস্ত্রীর ছেলে সঞ্জয় মিস্ত্রী (৩২) ও খুলনার দাকোপ উপজেলার পানখালী গ্রামের মালেক শেখের ছেলে আসাদুল শেখ (২৫)।

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) বেলায়েত হোসেন জানান, সুন্দরবনে চোরা হরিণ শিকারির সব থেকে বড় গ্যাং ইন্টারপোলের তালিকাভুক্ত পাথরঘাটার চরদোয়ানী এলাকার কুখ্যাত চোরা শিকারি মালেক গোমস্তা বন্যপ্রাণী নিধন করতে তার লোকজন নিয়ে অবৈধ পথে সুন্দরবনে শ্যালারচর-কুকিলমুনি এলাকায় ঢুকেছে, এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) জয়নাল আবেদীনকে ২৯ এপ্রিল অভিযান চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। এসিএফ জয়নালের নেতৃত্বে সুন্দরবনের শ্যারারচর, কুকিলমুনি ও জ্ঞানপাড়া কর্মকর্তা ও বনরক্ষীরা অভিযানে থাকাকালে সোমবার বিকাল থেকে শুরু করে বড় ধরনের। আজ ভোররাতে শরণখোলা রেঞ্জের টিয়ারচর এলাকায় ৩টি ট্রলার ও একটি নৌকা আটক করা হয়। ট্ররার থেকে ৩০ কেজি হরিণের মাংসসহ তিন চোরা শিকারিকে গ্রেফতার করা হয়। পরে টিয়ারচর এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে বনের মধ্যে পেতে রাখা ৭০০ ফুট হরিণ শিকারের ফাঁদে আটকে থাকা ২২টি জীবিত হরিণ উদ্ধার করে বনে ছেড়ে দেওয়া হয়। এই তিন চোরা শিকারিদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়ের করে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে বাগেরহাট জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
বাগেরহাট,সুন্দরবন,হরিণ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close