চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘবদ্ধ কিশোর গ্যাংয়ের হাতে দুই যুবক খুন হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে পৌরসভাধীন ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ভূঁইয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলো—পৌরসভার আমিরাবাদ গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে জাহিদ (২৪) ও ভূঁইয়াপাড়া এলাকার নায়েব আলীর ছেলে শাহীন (২২)। পুলিশ ও এলাকার কাউন্সিলর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার সীতাকুণ্ড পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা নবম শ্রেণির ছাত্র ইরফানের মুখে সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়ে অপর এক কিশোর। এ নিয়ে তাদের মধ্যে মারামারি হয়।

বৃহস্পতিবার এ নিয়ে ভূঁইয়াপাড়া মুছার ঘাটা এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে সালিসি বৈঠক হবার কথা। সেখানে ইরফানের পক্ষে বৈঠকে যোগ দিতে যাওয়া জাহিদ ও শাহীনকে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা ধারালো ছোরা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে একজন রাতে ও একজন শুক্রবার সকালে মারা যায়।

সীতাকুণ্ড পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিউল ইসলাম মুরাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নবম শ্রেণির এক ছাত্রের মুখে সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়ার ঘটনা নিয়ে দুটি পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়। এ ঘটনা নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে একটি বৈঠক হবার কথা ছিল। সে বৈঠকে যাবার পথে জাহিদ ও শাহীনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা।

শুক্রবার সকালে এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ঘটনাস্থলে ছুটে যান সীতাকুণ্ড থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফিরোজ হোসেন মোল্লা, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শামীম শেখ, পুলিশ পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স) সুমন বণিকসহ পুলিশ সদস্যরা।

ওসি ফিরোজ জানান, কিশোর গ্যাংয়ের বখাটে একটি ছেলে নবম শ্রেণির এক ছাত্রের মুখে সিগারেটের ধোঁয়া ছেড়ে দেওয়ার ঘটনাকে নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তারা বৈঠকে মীমাংসার সিদ্ধান্ত নেয়। এক বড় ভাই বৈঠক করার কথা। ছাত্রের পক্ষে সেখানে যাবার সময় জাহিদ ও শাহীন প্রতিপক্ষ কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে আহত হয় এবং গভীর রাতে তারা চমেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

পিডিএসও/হেলাল