reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০৩ মার্চ, ২০২০

পাপিয়ার গেস্টদের তথ্য চেয়ে ওয়েস্টিনকে দুদকের চিঠি

অবৈধ ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে নরসিংদী যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামিমা নূর পাপিয়া ওরফে পিউর কাছে কারা যেতেন, তার অতিথি কারা ছিলেন, সেসব তথ্য চেয়ে পাঁচতারকা হোটেল ঢাকা ওয়েস্টিনকে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)৷

সোমবার কমিশনটির উপপরিচালক শাহীন আরা মমতাজ এ চিঠি দিয়েছেন। দুদক পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

দুদক সূত্র জানায়, চিঠিতে ওয়েস্টিন হোটেলে পাপিয়া এ পর্যন্ত কতদিন কাটিয়েছেন, সেখানে কত টাকা বিল দিয়েছেন, সে তথ্য চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সেখানে তার কাছে যাওয়া গেস্টদের তথ্যও চেয়েছে দুদক।

দুদক সূত্র জানায়, পাপিয়ার সম্পদ অনুসন্ধানের পাশাপাশি তিনি কাদের সহায়তা ও পৃষ্ঠপোষকতায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন করেছেন, তা খতিয়ে দেখা হবে। তার অবৈধ সম্পদের বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে দুদক।

তবে ওয়েস্টিন কর্তৃপক্ষ দাবি করে আসছে, পাপিয়ার অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না।

প্রসঙ্গত, গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলের প্রেসিডেন্ট স্যুট নিজের নামে কয়েক মাস ধরে বুক করে অবৈধ নারী, অস্ত্র ও মাদক ব্যবসা এবং চাঁদাবাজিসহ নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছিলেন শামীমা নূর পাপিয়া। র‌্যাব বলছে, গত ৩ মাসে শুধু ওই হোটেলেই পাপিয়া বিল দিয়েছেন ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। হোটেলটির বারে তিনি প্রতিদিন বিল দিতেন প্রায় আড়াই লাখ টাকা। এই হোটেলের প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুট বরাদ্দ ছিল পাপিয়ার।

ওয়েস্টিন হোটেলের ২২ তলায় সবচেয়ে বিলাসবহুল প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুটটিতে থাকতে বহু টাকা গুনতে হতো পাপিয়াকে। চার বেডরুমের ওই স্যুটের প্রতি রাতের ভাড়া সাধারণভাবে ২ হাজার ডলারের মতো।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পাপিয়া তার অতিথিদের প্রথমে নিয়ে যেতেন ওয়েস্টিনের লবিতে। পরে লাঞ্চ বা ডিনার শেষে সেখান থেকে নিয়ে যেতেন তার নামে বরাদ্দকৃত বিলাসবহুল প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুটে। ২৩ তলাবিশিষ্ট ঢাকা ওয়েস্টিন হোটেলের লেভেল-২২ এ ১ হাজার ৪১১ বর্গফুট জায়গাজুড়ে বিলাসবহুল প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুট। সেখানে অতিথিদের সুন্দরী তরুণীদের সঙ্গে কিছুক্ষণ বৈঠক করতেন পাপিয়া। এরপর পছন্দসই তরুণীকে নিয়ে গোপন কক্ষে প্রবেশ করতেন ভিআইপিরা।

শুধু তাই নয়, বাংলাদেশে প্রথম অনলাইনভিত্তিক যৌন ব্যবসার প্ল্যাটফর্ম ‘এসকর্ট’ গড়ে তোলেন যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ওরফে পিউ। এটি গড়ে তুলতে রাজনীতিকে তিনি ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেন। এখান থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সুন্দরী তরুণী সরবরাহ করা হতো। কয়েক বছর আগে ‘এসকর্ট’টি গড়ে তোলা হলেও এরই মধ্যে তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সারা দেশের বিভাগীয় শহরগুলোয়।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
পাপিয়া,হোটেল ওয়েস্টিন,দুদকের চিঠি
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close