যশোর প্রতিনিধি

  ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

শার্শায় গৃহবধূ ধর্ষণের মামলা পিবিআইতে

যশোরের শার্শার লক্ষণপুরে গৃহবধূ গণধর্ষণ মামলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) হস্তান্তর করা হয়েছে। পুলিশ হেড কোয়াটারের আদেশে মামলাটি যশোর পিবিআই গ্রহণ করেছে। এই মামলায় তিনজনের নাম উল্লেখ করা হলেও একজন অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। ওই অজ্ঞাত আসামি এসআই খায়রুল নাকি অন্য কেউ সেটি নিয়ে চলছে তোলপাড়।

পুলিশের দাবি, ভিকটিমের সামনে হাজির করা হলে তিনি চিনতে পারেননি। এজন্য একজনকে অজ্ঞাত আসামি রেখেই মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। আর ভিকটিমের দাবি, এসআই খায়রুলকে চিনতে পারলেও ভয়ে তার নাম বলতে পারেননি।

পিবিআই যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমকেএইচ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, কিছু আনুষ্ঠানিকতা বাকি আছে। সেগুলো সম্পন্ন করেই তদন্ত শুরু হবে। অচিরেই প্রকৃত আসামি শনাক্ত করা সম্ভব হবে।

পুলিশ সুপার মঈনুল হক বলেন, হতে পারে সেদিন ভিকটিম ভয়ে এসআই খায়রুলের নাম বলেননি। তদন্তে খায়রুলের সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো ব্যক্তির দায় সংস্থা বহন করবে না।

তিনি আরও বলেন, ভিকটিমের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত তিন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভিকটিমের পরিবার জানিয়েছেন, ভয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সামনে স্থানীয় গোড়পারা ফাঁড়ির এস্আই খায়রুলের নাম প্রকাশ করতে পারেনি। ওই গৃহবধূ বলেন, ‘আমি খায়রুলকে ভালোভাবেই চিনি। আমাদের কাছ থেকে দফায় দফায় ৮ ও ৪ হাজার করে টাকা নিয়েছেন। আবার বিনা কারণে আমার স্বামীকে ধরে নিয়ে গেছে।’

ধর্ষণের সময় এশাই খায়রুল উপস্থিত ছিলেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রিপোর্টে তো প্রমাণ আসবে। আর আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও তারা বলবে। কারণ তারা আরও ভালো জানে।’ এসআই খায়রুলসহ আরও যে তিন আসামি রয়েছেন তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে ওই গৃহবধূ বলেন, ‘তাদের এমন শাস্তি দেওয়া হোক যা দেখে আর কেউ এমন অপকর্ম করতে সাহস না করে।’

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
শার্শা,যশোর,গৃহবধূ ধর্ষণ,পিবিআই
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close