গিয়াস কাদের চৌধুরীর বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর চট্টগ্রাম নগরীর গুডস হিলস্থ বাসভবনে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার ইফতারের পরপর প্রায় ৩০/৪০ জন যুবক বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এ হামলা চালায়। এ সময় তারা বাসার সামনে রাখা ছয়টি গাড়ি ছাড়াও বাসার দরজা-জানালা ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। প্রায় ২০ মিনিট ধরে ভাঙচুর চালানোর পর যুবকরা ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ শ্লোগান দিতে দিতে পাহাড় থেকে নেমে যায়। হামলার সময় গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ভাই সাইফুদ্দীন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ও কয়েকজন গৃহভৃত্য ছাড়া বাসায় কেউ ছিলেন না।
ধারণা করা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ওই বিএনপি নেতার একটি বিতর্কিত মন্তব্যের জের ধরে এ হামলার ঘটনা ঘটতে পারে। তবে এ ধরনের কোনো হামলার কথা জানা নেই বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি থানার ওসি মো. মহসিন।
হামলার জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করে বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, দুপুরে মহানগর ছাত্রলীগের কার্যালয়ে সভা করে হামলার পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী সন্ধ্যায় ইফতারের ঠিক পরেই ৩০/৪০ জন যুবক বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে বাসায় প্রবেশ করে। এ সময় আমি বাসায় ছিলাম না। তারা প্রায় ২০ মিনিট ধরে তাণ্ডব চালিয়ে ছয়টি গাড়ি, বাসার দরজা-জানালা ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। পুলিশকে হামলার বিষয়ে জানানো হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশের সামনেই এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশই হামলাকারীদের সুযোগ করে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ভাই। মঙ্গলবার জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার একটি কমিউনিটি সেন্টারে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে তার একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় গিয়াস উদ্দিন কাদের ও স্থানীয় বিএনপি নেতা সারোয়ার আলমগীরসহ ৫০/৬০ জনকে আসামি করে গতকাল ফটিকছড়ি থানায় একটি মামলা করেন উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি জামাল উদ্দিন।
পিডিএসও/হেলাল