সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
শীতে ডিমের দামে হাঁসের বাচ্চা, বিপাকে খামারিরা
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে শীতের মধ্যে হাঁসের বাচ্চা ফুটিয়ে বিপাকে পড়েছেন হারিকেন বাতির হ্যাচারি ব্যবসায়ীরা। ডিমের দামে হাঁসের বাচ্চা বিক্রি করতে হচ্ছে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। এতে হাঁস পালনের চাহিদা কমেছে গ্রামেগঞ্জে।
সরেজমিনে মহেষ রৌহালী, কাজীপুর ও বিরৌহালী গ্রামের হারিকেন বাতির হ্যাচারিতে দেখা গেছে, বাঁশের মাচার ওপর সারিবদ্ধভাবে রাখা রয়েছে বিপুল পরিমাণ হাঁসের ডিম। ডিমগুলো লেপ দিয়ে ঢেকে দেওয়া রয়েছে। মাচার নিচে হারিকেন বসিয়ে পরিমাণ মতো তাপ দেওয়া হচ্ছে। পরে ডিম ফুটে হাঁসের বাচ্চা বের হচ্ছে। প্রতিটি হ্যাচারিতেই ডিম ও বাচ্চার পরিচর্যার কাজ করছেন ৬-৭ জন শ্রমিক।
জানা গেছে, অনেকের ইটের পাকা বাড়ি হয়েছে হারিকেন বাতির হ্যাচারি করে। কর্ম সংস্থানের সুযোগ হয়েছে হাজারো লোকজনের। কিন্তু শীত মৌসুমে হাঁসের বাচ্চার দরপতনে বিপাকে পড়েছেন হারিকেন বাতির হ্যাচারি ব্যবসায়ীরা।
বারুহাস ইউনিয়নের কাজীপুর গ্রামের হারিকেন বাতির হ্যাচারি ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক বলেন, মাচায় ডিম দেওয়ার ২৮-৩০ দিনে হারিকেন বাতির উত্তাপে ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। এই এক মাসে ডিমের দাম বাদেও আনুসঙ্গিক আরও অনেক খরচ হয়। শীতের আগে এক দিন বয়সের একটি হাঁসের বাচ্চা ২৮-৩০ টাকায় বেচাকেনা হয়েছে। কিন্তু শীতের মধ্যে ২০ টাকায় ডিম কিনে হাঁসের বাচ্চা ফুটিয়ে ২০ টাকা দামেই পাইকারি বিক্রি করতে হচ্ছে।
তাড়াশ পৌর এলাকার আসানবাড়ী গ্রামের হাঁসের খামারি সাইফুল, আব্দুল খালেক ও সোবাহান বলেন, শীতে হাঁসের বাচ্চার রোগবালাই বেশি হয়। অনেক বাচ্চা মারা যায়। এ সময়ে খামারে বাচ্চা নেওয়া বেশ ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। তাই অধিকাংশ খামার ফাঁকা পড়ে আছে।
তাড়াশ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. অলিউল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, হাঁসের বাচ্চাগুলো আপাতত হ্যাচারি ব্যবসায়ীদের কাছে রেখে দেওয়া যেতে পারে। শীত কমে গেলে ভালো দাম পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পিডিএস/এস