লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী ও কালিগঞ্জ) আসনে ‘জাল ভোট’ দেওয়ার অভিযোগ স্বীকার করে সমালোচার মুখে পড়েছেন আবদুল জলিল নামে একটি ভোটকেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা। জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার ভুল্যারহাট আশরাফিয়া দাখিল মাদরাসা ভোটকেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন তিনি।

স্থানীয় সংবাদ কর্মীদের দেওয়া ভিডিও সাক্ষাৎকারে আবদুল জলিল বলেন, ‘তারা জোর-জবরদস্তি করেছিল, আমরা অনুরোধ করেছি, আপনারা এ রকম করেন না, আমাদের পক্ষে সম্ভব না। জোর-জবরদস্তি করে তারা দুই একটা ভোট বেশি দিয়েছে।’

রবিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে কালিগঞ্জের ভুল্যারহাট আশরাফিয়া দাখিল মাদরাসা কেন্দ্রের ৩ নম্বর বুথে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগ উঠে। ওই বুথের সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তার কাছে থাকা ভোটার তালিকা বইয়ের টিক চিহ্নের সঙ্গে ভোটার ব্যালট পেপারে ভোটারদের স্বাক্ষর করা সিরিয়ালে গরমিল পায় সাংবাদিকরা। এ সময় ভোটার ব্যালট পেপারের স্বাক্ষর হিসাব করে ২০৯টি পাতা পাওয়া গেলেও ভোটার তালিকা বইয়ের টিক চিহ্ন হিসাব করে পাওয়া যায় ১৭৭টি। এ সময় হিসাবের বাইরে ৩২টি ভোট কীভাবে পড়েছেন এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর দিতে পারেনি ওই কেন্দ্রের সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আব্দুল জলিল।

খবর পেয়ে টহল পুলিশ ওই কেন্দ্রে ছুটে এলে দ্রুত সরে যায় কেন্দ্রের আশপাশে অবস্থান নেওয়া লোকজন। এ সময় জাল ভোটের বিষয়টি এড়িয়ে লালমনিরহাট সহকারী পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আমরা যেখানেই খবর পাচ্ছি, তাৎক্ষণিক সেখানে ছুটে যাচ্ছি। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ভোট গ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে চলছে।’

পিডিএস/আরডি