গাজীপুরের টঙ্গীতে বস্তি উচ্ছেদ না করার দাবিতে বস্তিবাসী ​বিক্ষোভ করেন। শুক্রবার দুপুরে মিলগেট নামা বাজার এলাকায় এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় সড়কের একপাশে কয়কশত বস্তিবাসী জড়ো হয়ে বিক্ষোভ ও স্লোগান দেন।

বস্তির বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বস্তির বাসিন্দারা উচ্ছেদ আতঙ্কে আছেন। যেকোনো সময় ভেঙে দেবে বলে বস্তিবাসীকে জানিয়ে দিয়েছে। বস্তিতে গিয়ে দেখা যায়, উচ্ছেদ আতঙ্কে কেউ বুঝতে পারছিলেন না কী করবেন। বস্তির সবার মুখে এক কথা, ‘বস্তি নাকি ভাইঙা দিবে’।

বস্তির পুনর্বাসন কমিউনিটি আহ্বায়ক আল আমিন বলেন, এখানে ঝুপড়ি ঘরে কেউ সুখে নাই। বাধ্য হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। সরকার ব্যবস্থা করে দিলে বস্তিবাসী চলে যাবে। কিন্তু এভাবে হঠাৎ উচ্ছেদ করলে কেউ মানবে না।

বস্তির বাসিন্দাদের অধিকাংশই রিকশাচালক, পোশাক শ্রমিক কিংবা গৃহপরিচারিকার কাজ করেন। মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু রক্ষায় সবাই কাজ বাদ দিয়ে চলে এসেছেন বিক্ষোভে। কারও কোলে দুধের বাচ্চা, কারও সঙ্গে বয়স্ক বাবা-মা। বাদ যাননি শারীরিক প্রতিবন্ধীও।

মিছিলে দাঁড়িয়ে স্থানীয় দোকানদার ও বস্তির বাসিন্দা সাগর বলেন, আজকে কেউ কাজে যায় নাই। আগে তো থাকার জায়গা বাঁচাইতে হইবো। আমরা কী এ দেশের নাগরিক না। অন্য জায়গা না দিয়া উচ্ছেদ করে দিলে আমরা কই যাব।

ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল হাসেম, স্থানীয় নেতা হারুন, মনির হোসেন নেতাদের মদদে পুনর্বাসন ছাড়া বস্তি উচ্ছেদ করা হচ্ছে বলে দাবি করেন বস্তিবাসী।

যোগাযোগ করা হলে গাসিক ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল হাসেম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এই উচ্ছেদের বিষয়টি আমার জানা নেই। টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশের (ওসি) এমদাদুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

পিডিএসও/হেলাল