ধাওয়ানকে সাকিব, রায়নাকে ফেরালেন রুবেল
শ্রীলংকায় নিদাহাস ট্রফি ত্রিদেশীয় টি-২০ সিরিজের ট্রফি জিততে হলে ভারতকে করতে হবে ১৬৭ রান। শুরুতেই শিখর ধাওয়ানকে (১০) ফেরালেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। দলীয় ৩২ রানে ফিরে যান তিনি। এর পর রানের খাতা খোলার আগেই সুরেশ রায়নাকে ফেরালেন রুবেল হোসেন। এর আগে আজকের ফাইনালে টস হেরে ভারতের বিরুদ্ধে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রান করছে বাংলাদেশ। এর আগে ভারতের যুজবেন্দ্র চাহালের বোলিং তোপে থমকে দাঁড়ায় টাইগাররা। ইনিংসে শুরুতেই ৩ উইকেট হারিয়ে অর্থাৎ দলীয় ২৭ রানে লিটন দাসবে (১১) ও তামিম ইকবাল (১৫) এবং ৩৩ রানে আউট হয়েছেন সৌম্য সরকার (১)। দলীয় ৬৮ রানে আউট হলেন মুশফিক (৯), ১০৪ রানে ভুল বোঝাবুঝির কারণে রান আউট হয়ে বিদায় নিলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (২১)। সেখান থেকে দলকে টেনে তুলেন সাব্বির। দুর্দান্ত হাফসেঞ্চুরির পর ৭৭ রানে থেমেছেন তিনি। ৫০ বলে ৭ চার ও ৪ ছয়ে ৭৭ রান করেন তিনি। তারপর শেষ ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৬৬ রান করেছে বাংলাদেশ।
দলীয় ২৭ রানে প্রথম উইকেট হারানো বাংলাদেশ ৩৩ রান তুলতেই হারায় আরও দুটি উইকেট। নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। শুরু থেকে দেখেশুনে খেলতে থাকেন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। কিন্তু ওয়াশিংটন সুন্দরের দ্বিতীয় ওভারে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে সুরেশ রায়নার ক্যাচ হন লিটন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রেকর্ড জয়ের কারিগর টানা তৃতীয় ম্যাচ দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। ৯ বলে ১১ রানে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে আউট হন লিটন। এনিয়ে ওয়াশিংটনের কাছে দ্বিতীয়বার উইকেট হারালেন তিনি।
পরের ওভারে যুজবেন্দ্র চাহাল ফেরান তামিম ও সৌম্য সরকারকে। লং অনে ৬ মারতে গিয়ে আউট হন তামিম। বাউন্ডারিতে দাঁড়ানো শার্দুল ঠাকুর অসাধারণ ক্যাচ ধরেন। ১৩ বলে ১৫ রান করেন বাংলাদেশের সেরা ওপেনার। চাহাল ওই ওভারের শেষ বলে সৌম্য সরকারকে (১) শিখর ধাওয়ানের ক্যাচ বানান। সাব্বির রহমানের সঙ্গে ক্রিজে থেকে ওই ধাক্কা সামলানোর চেষ্টায় ছিলেন মুশফিক। কিন্তু চাহালের শেষ ওভারের প্রথম বলে শঙ্করকে ক্যাচ দেন এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। ৩৫ রানের জুটি গড়েন তিনি।
সাব্বিরের সঙ্গে বিপদ সামাল দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু ৩৬ রানে ভাঙে তাদের জুটি। বিজয় শঙ্করের স্লোয়ার ডেলিভারি ব্যাটে ঠিকঠাক লাগাতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। বল তাই চলে যায় উইকেটরক্ষক দিনেশ কার্তিকের কাছে। ততক্ষণে অবশ্য অর্ধেক ক্রিজ পেরিয়ে এসেছেন সাব্বির। মাহমুদউল্লাহ তাকে হাত দিয়ে না ইশারা করলেও তিনি হয়তো খেয়াল করেননি। দুজন তখন একই প্রান্তে দাঁড়িয়ে। নিশ্চিত রান আউট বুঝে মাহমুদউল্লাহ আর দৌড়ালেন না, কিন্তু সুযোগটা নিলে হয়তো বাঁচতেও পারলেন তিনি। কারণ কার্তিকের থ্রো বোলিং প্রান্ত থেকে ঠিকমতো ধরতে পারেননি শঙ্কর, হাত ফসকে গিয়েছিল তার। মাহমুদউল্লাহ দৌড়ালেন ঠিকই, তবে বড্ড দেরি হয়ে গেছে। ফল, দুর্ভাগ্যজনক রান আউটে আগের ম্যাচের জয়ের নায়কের বিদায়।
সাকিব আল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে সাব্বির আরও যোগ করেন ২৯ রান। ৭ বলে ৭ রান করে রান আউট হন সাকিব। এর আগে ৩৭ বলে ৫ চার ও ২ ছয়ে হাফসেঞ্চুরি করেছেন সাব্বির। উনাড়কাট তার শেষ ওভারে জোড়া আঘাত করেন, সাব্বির ও রুবেলকে বিদায় করেন তিনি। শেষ ওভারে মিরাজ ১৮ রান এনে দেন দলকে। ৭ বলে ১৯ রানে অপরাজিত ছিলেন মিরাজ। শেষ পর্যন্ত ১৬৬ রানে গিয়ে দাঁড়তে বাধ্য হয় বাংলাদেশ।পিডিএসও/মুস্তাফিজ