reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২০ জুলাই, ২০২২

উড়ে উড়ে ঘরে ফেরা!

তুরস্কের জেঙ্গিস কোচাক একজন ক্যাবল কার ম্যানেজার। তার অফিস ১২০০ মিটার উঁচুতে পর্বতের ওপর। কিন্তু ঘরে ফেরেন গাড়িতে বা ক্যাবল কারে নয়, উড়ে উড়ে। আকাশ থেকে পাখির মতো ঝাঁপিয়ে পড়া এবং মাটিতে খুব অনায়াসে নেমে আসা, এটা জেঙ্গিস কোচাকের প্রতিদিনকার কাজ। অবশ্য দিনের শুরুটা অন্য সব তুর্কিদের মতোই। সকালে কফির পেয়ালায় শেষ চুমুকের পরই কাজের শুরু।

তার অফিস ১২০০ মিটার ওপরে, তুরস্কের দক্ষিণ উপক‚লের বাবাদাগ পর্বতের ওপর। সেখানে যাবার জন্য তাকে ক্যাবল কারে চড়তে হয়। উঁচু পর্বতেই তিনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। ক্যাবল কার ম্যানেজার জেঙ্গিস কোচাকের মতে, ‘‘ভয় আমাকে কৌতুহলী করে। ভয় পেলেই নিজেকে অনুভব করি।''

কোচাকের তাই প্রয়োজন চ্যালেঞ্জ। তু্র্ির্ক সেনাবাহিনীতে থাকার সময় তিনি উইংসুট পরে বা কখনো না পরেই প্যারাস্যুটার হিসেবে বেজ জাম্পিং রপ্ত করেন। তুরস্কে তিনি আজ সেই ক'জনের একজন, যারা এই খেলায় দক্ষ। এই ফাঁকে নিজের কর্মস্থলে এসেছেন কোচাক। বাদাবাগ ক্যাবল কারের প্রশাসনিক প্রধান তিনি। তার ডেস্কের পাশে ঝুলানো উইংসুট। এই সুট ছাড়া তার বাকি কাজের সময়টার সঙ্গে এই এক্সট্রিম স্পোর্টের কোনো সম্পর্ক নেই। যেমন, ক্যাবল কারের কারিগরি দিকগুলো পর্যবেক্ষণ করা। আর সেখানকার প্যানোরামা রেস্টুরেন্ট ও তার দৃশ্য দেখার প্ল্যাটফর্মটির তত্ত¡াবধান করা। কোচাক বলেন, ‘‘ক্যাবল কারে ঘরে ফিরতে ভালো লাগে না। কারণ আমি উড়তে পারি।''

আর তাই গায়ে চড়ালেন উইংসুট। এটি প্যারাগ্লাইডারদের কাছে একটি প্রিয় ওড়ার জায়গা। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজের পছন্দের উচ্চতা পর্যন্ত একটা রাইড নিয়ে নেন কোচাক।এরপর পাখির মতো ডানা মেলে ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার গতিতে নামতে থাকেন তিনি। গন্তব্য ঘর। সেখানে অপেক্ষা করছে তুরস্কের সবচেয়ে সুন্দর সমুদ্রতীরগুলোর একটি। নাম ওলুদেনিজ। অবতরণের জন্য শুধু প্যারাসুটটি খুলে ফেলতে হয়। তাতেই ৪০ মিনিটের ড্রাইভিংয়ের পথ মাত্র ৪ মিনিটে নেমে আসেন কোচাক। তিনি বলেন, ‘কাজ শেষ। এখন নেটফ্লিক্স দেখার সময়।’ তার আগে জিনিসপত্র ব্যাকপ্যাকে গুঁজে নেন তিনি। এখানে প্রায় সবার জন্যই ওড়া একটি শখের খেলা। আর জেঙ্গিস কোচাকের জন্য তার প্রতিদিন ঘরে ফেরার উপায়। সূত্র ডয়েছে ভেলে।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
উড়ে,ঘরে,ফেরা
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close