প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১১ মে, ২০২১

এভারেস্ট জয়ও তার কাছে নেশা!

এভারেস্ট হোক বা অন্য কোনো দুর্গম পাহাড়, জয় করার সময় অভিযাত্রীদের সঙ্গে থাকেন দক্ষ শেরপারা। শহরের গলিপথের মতোই তাদের কাছে পাহাড়ের শৃঙ্গে পৌঁছে যাওয়ার রাস্তা চেনা থাকে। অভিযাত্রী পাহাড়ের শীর্ষে পৌঁছিয়ে নিজের দেশের পতাকা পুঁতে দেন মাটিতে। তবে সে অর্থে যোগ্য সম্মান পান না শেরপারা। কিন্তু এমন শেরপা আছেন যাদের কাছে পাহাড় জয় করাটা একটা নেশার মতো। সে রকমই একজন নেপালের কামি রিতা। যিনি এক-দুবার নয়, ২৫ বার এভারেস্ট জয় করে ফিরলেন।

গত শুক্রবার কামি ও আরো ১১ জন শেরপা ছয়টি নাগাদ এভারেস্ট শৃঙ্গ জয় করেন। এই খবরে সিলমোহর দিয়েছেন ডিপার্টমেন্ট অব ট্যুরিজমের মুখপাত্র মীরা আচার্য। এ বছরে কামির দলই প্রথমবার শৃঙ্গ জয় করল। বছরের শেষের দিকে যদি অন্য অভিযাত্রীরা আসেন, তাদের কথা চিন্তা করে বরফ ঢাকা পথে দড়ি লাগিয়ে এসেছেন তারা। এতে অন্য অভিযাত্রীদের পথ চিনে নিতে সুবিধা হবে।

সাধারণত প্রতি বছর অভিযাত্রীরা নেপাল ও চীন, এই দুই দেশের অন্তর্গত অংশ দিয়ে পাহাড়ে চড়া শুরু করেন। এভারেস্টের উত্তর অংশ পড়ে চীনের দিকে আর দক্ষিণ অংশ পড়ে নেপালের দিকে। কিন্তু গত বছর করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার জন্য দুই দিক থেকেই পর্বতারোহণ বন্ধ ছিল। তবে করোনা এখনো অত্যন্ত তীব্র গতিতে ছুটে চলেছে। তা সত্ত্বেও নেপালের দিক থেকে এভারেস্ট যাওয়ার রাস্তা খুলে দেওয়া হয়েছে।

বর্তমানে ৫১ বছরের কামি ১৯৯৪ সালে প্রথমবার এভারেস্ট জয় করেন। এর পর থেকে প্রায় প্রতি বছরেই তিনি এভারেস্ট জয় করে ফিরে আসেন। অন্যান্য ইচ্ছুক অভিযাত্রীদের সুরক্ষিত রেখে তাদের পথ দেখিয়ে এভারেস্টে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্বও নেন অনায়াসে। কামির বাবাও একজন সুদক্ষ শেরপা ছিলেন। এভারেস্ট ছাড়াও তিনি জয় করেছেন মানসলু, লোৎসে ইত্যাদি শৃঙ্গ। মে মাসে এই অঞ্চলের খামখেয়ালি আবহাওয়া একটু হলেও ভালো থাকে, তাই এই সময়েই বেশি মানুষ এভারেস্টের টানে ছোটেন।

২০১৫ সালে একবার তুষার ঝড়ের কবলে পড়েছিলেন কামি। এতে তিনি বেঁচে গেলেও মারা যান ১৯ জন অভিযাত্রী। তারপর থেকেই কামির বাড়ি থেকে প্রবল চাপ আসে যে এবার পাহাড়ে চড়া বন্ধ করতে হবে। প্রথমে রাজি হলেও পরে বেঁকে বসেন শেরপা। হিমালয়ের টান কী এত সহজে এড়ানো যায়! সূত্র : এনডিটিভি

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
নেশা,এভারেস্ট,শৃঙ্গ জয়,কামি রিতা
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close