ফরাজী মো.ইমরান (কলাপাড়া) পটুয়াখালী
কুয়াকাটায় পর্যটকদের উপচে পড়া ভীড়
বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে পর্যটন শিল্প কুয়াকাটা ও দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর পায়রায় পর্যটকদের ঢল নেমেছে। সেই সাথে ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফেরা মানুষ ও স্থানীয়দের কমতি নেই পর্যটন স্পটগুলোতে। ঈদুল ফিতরের ছুটিতে পর্যটকদের ভারে জনসমুদ্রে পরিনত হয়েছে সুর্যোদয়-সূর্যাস্তের বেলাভূমি সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা। কলাপাড়ার পায়রা বন্দর ও সাগরত সৈকতে যেন ফিরে পেয়েছে নতুন করে প্রানচাঞ্চলতা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের এই ছুটিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ভ্রমন পিপাসু নানা বয়সের হাজার মানুষ সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটার নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে ছুটে এসেছেন। কেউ নিজে, কেউ পরিবার পরিজন নিয়ে, কেউ বা নিজের পছন্দের মানুষটিকে নিয়ে দেখতে এসেছেন সাগর কন্যা কুয়াকাটা, দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর পায়রা। পর্যটকদের উপচে পড়া ভীড়ে কুয়াকাটা খাবার হোটেলসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কেনা বেচার ধুম পড়েছে। অধিকাংশ হোটেল, মোটেলের রূম আগাম বুকিং হয়ে যাওয়ায় সদ্য কুয়াকাটায় ভ্রমনে আসা পর্যটকদের ভালো রূম পেতে কষ্ট হলেও কুয়াকাটার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সব দু:খ ভুলিয়ে দিয়েছে। পর্যটকদের আনন্দ-উচ্ছাসে গোসল করতে দেখা গেছে। কুয়াকাটা জিরো পয়েন্টে শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধবিহার, মিশ্রিপাড়া সিমা বৌদ্ধ বিহার, জাতীয় উদ্যান, লেম্বুর চর, শুটকি পল্লী, রাখাইন মহিলা মার্কেট, গঙ্গামতি, কাউয়ারচর, লাল কাকড়ার চর, ইলিশ পার্ক সহ পর্যটন স্পটগুলো এখন পর্যটকদের পদচারনায় মুখরিত। তাছাড়া কুয়াকাটা টুরিস্ট্য পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
নারায়নগঞ্জ থেকে স্বপরিবারে ঘুরতে আসা মো. নয়ন মিয়া বলেন, ভালো হোটেলে রূম না পেলেও কুয়াকাটার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমাদের সব কষ্ট ঘুচিয়ে দিয়েছে। কিন্তু কুয়াকাটার ভাঙ্গন রক্ষায় সরকারের ব্যবস্থা এবং সৈকতের বীচ থেকে এলজিইডির পুরনো ধ্বংশাবেস খুব দ্রƒত অপসারন করা উচিত।
পায়রা বন্দরে ঘুরতে আসা মো. সাইফুল ইসলাম রাহাত বলেন, এখানে ৯/১০ বছর আগে জঙ্গল ছিলো। দিনের বেলায় হেঁটে যেতেও মানুষ ভয় পেতো। সেখানে এখন বিশাল কর্মযঞ্জ। শ্রমিকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক মোতালেব শরীফ জানান, যোগযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে দিনদিন কুয়াকাটায় পর্যটক বাড়ছে। ইতিমধ্যে অধিকাংশ হোটেল-মোটেল-কটেজ অগ্রীম বুকিং হয়ে গেছে। তবে পর্যটকদের আগমন তুলনায় আবাসন সমস্যা হতে পারে বলে তিনি জানান।
কুয়াকাটা ট্যুরিষ্ট পুলিশ পরিদর্শক হারূন অর রশিদ বলেন, পর্যকদের নিরাপদ ভ্রমন আর নিারপত্তায় প্রস্তুত কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ। সৈকতে পর্যটকদের নির্বিঘেœ চলাফেরা এবং অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে দিকে সার্বক্ষনিক নজর রাখা হচ্ছে। এছাড়া কুয়াকাটার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
পিডিএসও/রানা