নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

প্রতিযোগিতা কমিশন এবং ইআরএফের যৌথ সেমিনারে বক্তারা

প্রতিযোগিতা আইন বাস্তবায়ন হলে বাড়বে জিডিপি

সুস্থ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান বাড়ানোর মৌলিক আইন হলো প্রতিযোগিতা আইন। এই বাস্তবায়নে কাজ করছে প্রতিযোগিতা কমিশন। এটি বাস্তবায়ন হলে দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকার কমপক্ষে ২ শতাংশ বাড়বে। গতকাল ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফের) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। প্রতিযোগিতা কমিশন ও ইআরএফ যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে। ইআরএফের সভাপতি সাইফ ইসলাম দিলালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসন মো. আবদুর রউফ, পরিচালক মো. খালেদ আবু নাছের, শ্রম ও উন্নয়ন অর্থনীতিবিদ ড. আবদুর রাজ্জাক এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের সাবেক মহাপরিচালক মুনির চৌধুরী এবং ব্যবসায়ীদের সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের পরামর্শক মো. মঞ্জুর আহমেদ।

মো. আবদুর রউফ বলেন, বিশ্বের ১৩০টির বেশি দেশে বিভিন্ন নামে প্রতিযোগিতা আইন ও কমিশন রয়েছে। যেসব দেশ আইনটি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পেরেছে, ওইসব জিডিপি ২ থেকে ৩ শতাংশ বেড়ে গেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ২০১২ সালে এই হয়েছে। আর আইন বাস্তবায়নের জন্য ২০১৬ সালে কমিশন গঠিত হয়। কিন্তু এখনো বিধিমালা ও প্রশাসনিক কাজ সম্পূর্ণ শেষ হয়নি। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গেও সম্পর্ক বাড়ানোর কাজ চলছে।

তিনি বলেন, এই কমিশনের কাজ হলো দেশে টেকসই অর্থনৈতিক পরিবেশ তৈরি করা। সার্বিকভাবে মানুষের জীবনযাত্রার মান বাড়ানো। তার মতে, উদ্যোক্তাদের মধ্যে সুস্থ প্রতিযোগিতা থাকলে পণ্যের মান ও উৎপাদন বাড়ে। কারণ তখন উদ্যোক্তারা বাজার দখলের জন্য নতুন নতুন পণ্য নিয়ে আসে। তিনি বলেন, সুস্থ প্রতিযোগিতার জন্য পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যম বিশাল ভূমিকা পালন করতে হবে। মো. আবদুর রউফ বলেন, দেশে অনেকগুলো কমিশন রয়েছে। কিন্তু ওই কমিশন সংস্কারের অংশ হিসেবে অন্য সংস্থা থেকে রূপান্তর হয়ে কমিশন হয়েছে। কিন্তু এই কমিশন একেবারে নতুন। ফলে এটি গুছিয়ে উঠতে সময় লাগছে।

মুনির চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে দেশের অর্থনীতিকে নিজস্ব শক্তিতে দাঁড়াতে হলে প্রতিযোগিতা কমিশনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রতিষ্ঠিত হবে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আইনে এই কমিশনকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া আছে। ফলে দেশের যেকোনো ব্যক্তি হাজির হওয়ার জন্য নোটিস করা, তথ্য যাচাই ও পরিদর্শন করতে পারবে কমিশন। আর এ পর্যন্ত প্রতিযোগিতা কমিশনে কয়েকটি মামলা হয়েছে। এরই মধ্যে দুটি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এ ছাড়া আরো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছে এই কমিশন।

সাইফ ইসলাম দিলাল বলেন, দেশের অর্থনীতি ও শিল্পায়নের বিকাশে কাজ করছে গণমাধ্যমে। এ ক্ষেত্রে দেশের স্বার্থে যেকোনো ইতিবাচক উদ্যোগ বাস্তবায়নে ইআরএফের সদস্যরা পাশে থাকবেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দেশে উদ্যোক্তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকলেও তা সুস্থ নয়। এ ক্ষেত্রে পণ্যে ভেজাল দেওয়ার প্রতিযোগিতা রয়েছে। খাবারের নামে মানুষ কী খাচ্ছে, তা কেউ জানে না। কিন্তু প্রতিযোগিতা আইন বাস্তবায়ন হলে ভেজাল নিয়ন্ত্রণ হবে। এতে পণ্যের দামও কমবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close