নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য সম্প্রসারণে কাজ করছে সরকার : অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন আঞ্চলিক ব্যবসার ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে না। তবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ভালো করলেও বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক বাণিজ্যে তেমনটা করতে পারছে না। নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে কাজ করছে বাংলাদেশ। বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য সম্প্রসারণে কাজ করছে সরকার। এজন্য নতুন নতুন বাজার খোঁজা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজির ওপর একদিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজক দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি)।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী তিন মাসের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে বিজয়ের মাধ্যমে নতুন সরকার এলেও চলমান অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় এর কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের চলমান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি স্থবির হবে না। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

টেকসই উন্নয়নের গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের প্রতিবেশী ভারত, নেপাল, ভুটানসহ অনেকেরই এসডিজি বাস্তবায়নের সক্ষমতা রয়েছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভারত আমাদের বড় সহযোগী, এরপর আছে চীন। দেশের সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বসতে চায় সরকার। এক্ষেত্রে হিসাব নিরীক্ষকসহ অর্থনীতি সংশ্লিষ্ট সব সংগঠনকে বিষয়টি জানানো হবে।

মুহিত বলেন, দক্ষীণ এশীয় বাণিজ্যে ভারত ও চীন এগিয়ে আছে। নানা কারণে বাংলাদেশ ট্রেড ভলিয়মে পিছিয়ে আছে। তবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা থাকলে আমরা সে ট্রেড ভলিয়মে এগিয়ে যাব।

সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসন বিষয়ক পরিচালক মিয়া শিপো, সাসটেইনেবল গ্লোবাল রিপোর্টিংয়ের প্রধান পেট্রো বারতাজি, আইসিএমএবির সভাপতি মো. সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান প্রমুখ।

এসডিজিগুলো হচ্ছে দারিদ্র্য, ক্ষুধা, সুস্বাস্থ্য, গুণগত শিক্ষা, বৈশ্বিক উষ্ণতা, লিঙ্গ সমতা, বিশুদ্ধ পানি, স্যানিটেশন, সাশ্রয়ী ও পরিচ্ছন্ন শক্তি, নগরায়ণ, পরিবেশ ও সামাজিক ন্যায়বিচারসহ সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করে বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে উন্নীত হতে চায়। তাই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দেশটি তার পলিসি প্রণয়নে পরিবর্তন এনেছে। এ প্রেক্ষাপটে পেশাগত হিসাববিদরা এসডিজিরর লক্ষ্যগুলো বাস্তবায়নে সরাসরি মুখ্য ভূমিকা পালন করছে।

সম্মেলনে বিভিন্ন খাতের (সরকারি, বেসরকারি, বহুজাতিক, শিক্ষা, এনজিও, দাতা সংস্থা, বৈদেশিক দূতাবাসগুলোর প্রায় ৪০০ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেছেন। সম্মেলনে ছয়টি কারিগরি অধিবেশনে দেশি ও বিদেশি প্রায় ৪০ জন বিশেষজ্ঞ ১৮টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন। পরবর্তীতে এসব বিষয়ে ওপর আলোচনা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close