হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

  ১২ জুন, ২০২১

হিলিতে কমেছে পেঁয়াজের দাম

ইমপোর্ট পারমিট বা আইপি জটিলতা কেটে আমদানি বাড়ায় এক দিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে দু-তিন টাকা। আমদানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বন্দরে পাইকারদের ভিড়ে কর্মচাঞ্চল্য যেমন ফিরতে শুরু করেছে, তেমনি দাম কমায় স্বস্তিও ফিরেছে। আমদানি বাড়লে পেঁয়াজের দাম আরো কমে আসবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

হিলি স্থলবন্দর ও বিভিন্ন আমদানিকারকদের গুদামঘর ঘুরে দেখা গেছে, বন্দর দিয়ে ইন্দোর ও নাসিক জাতের পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। এক দিন আগেও এসব জাতের প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩০-৩২ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ২৭ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

৩ জুন বন্দর দিয়ে চার ট্রাকে ৯৫ টন, ৫ জুন ৯ ট্রাকে ২১৩ টন, ৭ জুন ১৫ ট্রাকে ৩৯৭ টন, ৮ জুন ২২ ট্রাকে ৫৮৫ টন, ৯ জুন ২৭ ট্রাকে ৭৪১ টন ও ১০ জুন ৩৬ ট্রাকে ১ হাজার ৩৫ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। ৬ দিনে মোট ১১৩টি ট্রাকে ৩ হাজার ৬৬ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।

পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকার ইসরাফিল হোসেন বলেন, ‘পেঁয়াজ কিনে চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে থাকি। কিন্তু দীর্ঘ এক মাসের সময় ধরে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় আমরা একেবারে বসেছিলাম। সম্প্রতি আবারও বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে, যার কারণে আমরা হিলি স্থলবন্দরে এসেছি পেঁয়াজ কিনতে। আমার মতো দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আরো অনেক পাইকার এসেছেন পেঁয়াজ কিনতে। আর পণ্যটির দাম আগের চেয়ে কম থাকায় কিনতে যেমন সুবিধা হয়েছে; তেমনি মোকামে ভালো চাহিদা থাকায় আমাদের ব্যবসাও ভালো হচ্ছে।’

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম বলেন, ‘ইমপোর্ট পারমিট নিয়ে যে জটিলতা ছিল এরই মধ্যে সেটি কাটিয়ে উঠেছে। প্রথম দিকে আমদানি ৫-১০ ট্রাক করে হলেও বাড়তি চাহিদার কথা মাথায় রেখে আমদানিকারকরা পেঁয়াজের আমদানি বাড়িয়ে দিয়েছেন। যার কারণে বর্তমানে বন্দর দিয়ে আমদানির পরিমাণ বেড়ে ৩০ থেকে ৩৫ ট্রাকে দাঁড়িয়েছে।’

তিনি বলেন, শুধু ভারত থেকে নয়, মিয়ানমার থেকেও আমদানি হওয়ায় পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে দেশে। মোকামে থাকা পেঁয়াজের স্টক ছেড়ে দেওয়ায় বাজারে দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close