শ্রীমঙ্গলে সপ্তাহজুড়ে ঘন কুয়াশা আর হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। দিনের শেষদিকে সূর্যের দেখা মিললেও উত্তাপ না থাকায় দিনের বেলাতেও গরম কাপড় পরে চলাচল করতে দেখা গেছে মানুষকে। সন্ধ্যা নামার পর থেকে ঘন কুয়াশার কারণে ঝুঁকি নিয়েই যানবাহন চালছে। এই কনকনে শীতে চরম দুর্ভোগে সময় পার করছে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ।

শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সহকারী পর্যবেক্ষক মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার শ্রীমঙ্গলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। চলতি মাসে বেশ কয়েকবার শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

গত সোমবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায় সন্ধ্যার পর থেকেই হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে অল্প আয়ের মানুষ। বিশেষ করে চা-বাগানগুলোতে শীতের তীব্রতা খুব বেশিই। তাই নিম্নআয়ের মানুষের গরম কাপড়ের অভাবে আগুন জ্বালিয়ে তাপ নিতে দেখা।

জেরিন চা-বাগানের শ্রমিক আপন মুন্ডা বলেন, ৮ থেকে ১০ দিন ধরে হঠাৎ প্রচন্ড ঠান্ডা পড়েছে। আমাদের মতো গরিব চা-শ্রমিকেরা অনেক কষ্টে দিন পার করছে। পর্যাপ্ত গরম কাপড় না থাকায় চা-শ্রমিকেরা রয়েছেন সবচেয়ে কষ্টে। এমন অবস্থায় সরকারি ও বেসরকারিভাবে চা-বাগানে শীতবস্ত্র বিতরণ করা খুব জরুরি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম জানান, এরই মধ্যে উপজেলার ৫ হাজার ৬০০ গরিব অসহায় মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ৪ হাজার ১০০ এবং উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ তহবিল থেকে পাওয়া ১ হাজার ৫০০ কম্বল বিতরণের অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়া ৩০০ মুক্তিযোদ্ধাসহ দুস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে এসব কম্বল বিতরণ করা হবে।

"