নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৭ জানুয়ারি, ২০২১

অর্থপাচার মামলা

এনামুল-রুপনের বিচার শুরু

ওয়ারী থানার পৃথক দুটি অর্থপাচার মামলায় ক্যাসিনো কারবারি বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা পুরান ঢাকার দুই ভাই এনামুল হক ভূঁইয়া ওরফে এনু, রুপন ভূঁইয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন গতকাল মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।

এ ছাড়া একই আদালতে ওয়ারী থানার আরো একটি অর্থপাচার মামলায় এই দুই সহোদরসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে তিনজন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তারা হলেন র‌্যাব-৩-এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আখতারুজ্জামান, র‌্যাব-৩-এর সহকারী উপপরিদর্শক মুকুল মিয়া এবং করপোরাল শামীম আহমেদ। এ নিয়ে এ মামলার চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। এ মামলায় এনামুল-রুপনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ৫ জানুয়ারি অভিযোগ গঠন করে আদালত। মামলার সাক্ষীর সংখ্যা ২০।

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শওকত আলম বলেন, এই আদালতে এনামুল হক ভূঁইয়া ওরফে এনু ও রুপন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে তিনটি অর্থপাচার মামলা বিচারাধীন। আজ দুটি অর্থপাচার মামলায় এনামুল-রুপনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে আদালত। একটি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ঠিক করা হয়েছে ২৮ ফেব্রুয়ারি, অন্যটি ২২ ফেব্রুয়ারি।

মামলার কাগজপত্রের তথ্য বলছে, মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত ১১ আসামির মধ্যে কারাগারে আছেন সাত আসামি। তারা হলেন এনামুল হক, রুপন ভূঁইয়া, তুহিন মুন্সি, জয় গোপাল, আবুল কালাম আজাদ, নবী হোসেন ও সাইফুল ইসলাম। পলাতক আছেন এনামুল ও রুপনের ভাই মেরাজুল হক ভূঁইয়া, রশিদুল হক ভূঁইয়া, শহিদুল হক ভূঁইয়া ও তাদের সহযোগী পাভেল রহমান।

২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর এনামুল হক ও রুপন ভূঁইয়ার পুরান ঢাকার বানিয়ানগরের বাসায় এবং তাদের দুই কর্মচারীর বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। সেখান থেকে পাঁচ কোটি টাকা এবং সাড়ে সাত কেজি সোনা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সূত্রাপুর ও গেন্ডারিয়া থানায় তাদের নামে ছয়টি মামলা হয়। পরে গত বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি এনামুল হক ও রুপন ভূঁইয়ার পুরান ঢাকার লালমোহন সাহা স্ট্রিটের বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। ওই বাড়ি থেকে ২৬ কোটি ৫৫ লাখ ৬০০ টাকা জব্দ করা হয়।

আর ৫ কোটি ১৫ লাখ টাকার এফডিআরের কাগজপত্র পাওয়া যায়। সোনা পাওয়া যায় এক কেজি। এ ঘটনায় দুই ভাইয়ের নামে আরো দুটি মামলা হয়।

মামলাগুলো তদন্ত করে গত বছরের ২১ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

অভিযোগপত্রের তথ্য বলছে, এনামুল বা রুপনই নন, তাদের আরো তিন ভাইসহ পাঁচজনে মিলে মতিঝিলে জমজমাট ক্যাসিনো ব্যবসা শুরু করেছিলেন। তাদের হাত ধরেই মতিঝিলের ক্লাবগুলোয় অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসার প্রসার ঘটে। সিআইডির তদন্তে এসব তথ্য উঠে আসে।

পুরান ঢাকার ক্যাসিনো ব্যবসায়ী এই পাঁচ ভাই হলেন শহিদুল হক ভূঁইয়া, রশিদুল হক ভূঁইয়া, মেরাজুল হক ভূঁইয়া, এনামুল হক ভূঁইয়া ও রুপন ভূঁইয়া। তাদের বাড়ি ওয়ারীতে। এনামুল হকরা সাত ভাই, এক বোন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close