ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অরগানাইজেশনের (ইন্টারপোল) রেড অ্যালার্ট তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশের ৭৮ নাগরিক। তাদের মধ্যে দুই মানব পাচারকারীকে সম্প্রতি গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলো মাদারীপুরের শাহাদাত হোসেন এবং কিশোরগঞ্জের জাফর ইকবাল। মানব পাচার চক্রের ছয়জনের বিরুদ্ধে নোটিস জারি রয়েছে। শাহাদাত হোসেনকে বিমানবন্দর থেকে সিআইডি গ্রেপ্তার করেছে। আর জাফর ইকবাল ইতালিতে গ্রেপ্তার হয়েছে। সূত্র : ডয়েচে ভেলে।

বাংলাদেশ পুলিশ জানিয়েছে, গত বছরের মে মাসে লিবিয়ার মিজদাহ শহরে মানব পাচারকারীরা গুলি করে ২৬ বাংলাদেশিকে হত্যা করে। সেই মামলায় শাহাদাত ও জাফর আসামি। আরো চার আসামি হলো বাংলাদেশি মিন্টু মিয়া, স্বপন, নজরুল ইসলাম মোল্লা ও তানজিরুল। তাদের ধরিয়ে দিতে গত বছরের ২৫ নভেম্বরে ইন্টারপোল রেড অ্যালার্ট জারি করে।

ইন্টারপোলের লাল তালিকায় এখন ৭৮ বাংলাদেশির নাম ও পরিচয় রয়েছে। তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তাদের অপরাধের ধরনও বলা আছে। রয়েছে ঠিকানা, বয়স ও ছবি।

৭৮ জনের মধ্যে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় দ-প্রাপ্ত পলাতকদের নামও রয়েছে। রয়েছে যুদ্ধাপরাধ মামলায় দ-প্রাপ্ত পলাতকদের নাম। তারা হলো বঙ্গবন্ধুর খুনি নূর চৌধুরী, খন্দকার আবদুর রশীদ, নাজমুল আনসার, শরিফুল হক ডালিম, আহমেদ শরিফুল হোসেন, মোসলেম উদ্দিন ও রাশেদ চৌধুরী। যুদ্ধাপরাধের মামলায় দ-প্রাপ্ত পলাতকদের মধ্যে আবদুল জব্বার ইঞ্জিনিয়ার ও মাওলানা আবুল কালাম আজাদ রয়েছে এ তালিকায়।

২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলায় পলাতক মাওলানা তাজউদ্দিন, বিএনপি নেতা হারিস চৌধুরীর ও সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভির নাম ও ছবি আছে এ তালিকায়। মানব পাচারকারী, হত্যা মামলায় দ-প্রাপ্ত পলাতক আসামিসহ বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে শীর্ষ সন্ত্রাসী যারা পলাতক, তাদের নামেও রেড নোটিস জারি করা হয়েছে।

"