মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি

  ০৭ এপ্রিল, ২০২৪

খাগড়াছড়ি

ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ মানিকছড়ি-লক্ষ্মীছড়িবাসী

ঘনঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি ও লক্ষ্মীছড়ি দুই উপজেলার প্রায় ১১ হাজার গ্রাহক। যা চলতি মাসে মাত্রা ছাড়িয়েছে। প্রভাব পড়েছে অফিস পাড়া থেকে ঈদের কেনাকাটা ও অন্যান্য স্বাভাবিক কার্যক্রমে। সকাল, সন্ধ্যা, সেহরি কিংবা ইফতারেও থাকছে না বিদ্যুৎ। তাছাড়া গত কয়েকদিন ধরে গরমের তীব্রতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। একে তো গরম, তার ওপর এমন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে তারাবি নামাজের সময়ও থাকছে না বিদ্যুৎ। মাঝেমধ্যে বিদ্যুৎ এলেও কিছুক্ষণ থেকে কয়েক ঘণ্টার জন্য আবার চলে যায়। এতে রোজাদাররা ইবাদত করতে গিয়ে পড়েছে বিপাকে। সেইসঙ্গে হালকা বাতাস-বৃষ্টি হলে তো বিদ্যুৎ থাকছেই না। অনেক সময় ঝড়বৃষ্টি ছাড়াই দীর্ঘসময় ধরে বন্ধ থাকছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট হওয়ায় এ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। গ্রাহকরা অভিযোগ করে বলছেন, বিদ্যুৎ সরবরাহ বিভাগ গ্রাহকদের সঙ্গে ইচ্ছে করেই এমনটা করছে। নতুবা মানিকছড়ি উপজেলার আবাসিক এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও অন্যত্র কেন বন্ধ রাখছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। তবে মানিকছড়ি আবাসিক বিদ্যুৎ সরবরাহ বিভাগের সংশি¬ষ্টরা বলছেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় এমনটা হচ্ছে। অন্যদিকে পাশের লক্ষ্মীছড়ির বিদ্যুৎ সরবরাহের চিত্র আরো ভিন্ন। সেখানে দিনে রাতে সব মিলিয়ে ৬ ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ থাকে না বলে জানিয়েছেন একাধিক গ্রাহক।

মানিকছড়ি আবাসিক প্রকৌশলীর (বিদ্যুৎ) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি ও লক্ষ্মীছড়ি এই দুই উপজেলার প্রায় ১১ হাজার গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে মানিকছড়ি বিদ্যুৎ সরবরাহ বিভাগ। যার মধ্যে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার মানিকছড়ি উপজেলার ও বাকি দেড় হাজার গ্রাহক লক্ষ্মীছড়ির।

মানিকছড়ি বাজার ব্যাবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের জানান, তারা বিদ্যুৎ নিয়ে বিপদে আছেন। এভাবে দিনরাত দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎহীন থাকায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা।

মানিকছড়ি বাজারের মোবাইল দোকানদার লিটনসহ আরো অনেকে জানান, বিদ্যুৎ না থাকলে তাদের কাজ থাকে না। তাই বিদ্যুৎ না থাকায় কর্মহীন হয়ে পড়ছেন তারা।

অন্যদিকে পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পাহাড়ে বৈসাবি উৎসবের কারণে দোকানপাটে বেড়েছে ক্রেতাদের ভিড়। ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মানিকছড়ি আবাসিক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) জিয়া উদ্দিন মোবাইলে জানান, মানিকছড়ি ও লক্ষ্মীছড়ির গ্রাহকদের ৫ মেগাওয়াট বিদ্যুতের জায়গায় সরবরাহ রয়েছে ১ থেকে দেড় মেগাওয়াট। বিদ্যুৎতের উৎপাদন কম হওয়ায় লোডশেডিং হচ্ছে। তবে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিভাগের দায়িত্বে কোনো অবহেলা নেই বলেও জানান তিনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close