নরসিংদী প্রতিনিধি

  ০৭ এপ্রিল, ২০২৪

নরসিংদী

ক্রেতাদের ভিড়ে জমজমাট বাবুরহাট

দেশের সর্ববৃহৎ পাইকারী কাপড়ের হাট হিসেবে পরিচিত নরসিংদীর শেখেরচর-বাবুরহাট এখন দেশের নানা প্রান্তের ক্রেতাদের ভিড়ে বেশ জমজমাট। প্রতি বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার এ তিন দিন হাটের ছোট বড় প্রায় পাঁচ হাজার দোকানে কাপড়ের পসরা সাজিয়ে বসলেও মূলত এখানকার ব্যবসায়ীরা তাকিয়ে থাকেন দুই ঈদের দিকে। এবারেও রোজা শুরুর এক সপ্তাহ আগে থেকেই এ হাটের ক্রেতাদের ভিড়।

নরসিংদী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের তথ্য অনুযায়ী, এই জেলায় ছোট-বড় প্রায় তিন হাজার শিল্পকারখানা রয়েছে। এর মধ্যে পাওয়ার লুম বা বৈদ্যুতিক তাঁত, টেক্সাইল বা বস্ত্র ও ডাইং (সুতা ও কাপড় রং করা) কারখানাই বেশি। এসব কারখানায় কাজ করেন প্রায় দুই লাখ শ্রমিক। দিনরাত খটখট শব্দে সুতা থেকে তৈরি হয় গ্রে কাপড়। ওই কাপড় বিভিন্ন ডাইং কারখানায় পছন্দ বা ফরমাশ অনুযায়ী রং করা হয়। এরপর প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষে এসব কাপড় আসে বাবুরহাটে।

গতকাল শনিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, বাবুরহাটের অলিগলিতে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা পাইকারি ক্রেতাদের ভিড়। তারা দোকান ঘুরে পছন্দ মতো শাড়ি, লুঙ্গি ও থ্রি-পিসসহ নানা ধরনের কাপড় কিনছেন। আবার ব্যক্তি পর্যায়েও অনেকেই পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের উপহার দিতে পাইকারি দামে কাপড় কিনছেন। কিছু পাইকারকে দেখা গেছে কাপড়ের গাঁট নিজেরাই মাথায়-কাঁধে বা হাতে বহন করছেন। যাদের গাঁট বড় ও বেশি তারা কুলি বা ভ্যানের সাহায্যে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে নিয়ে ট্রাক, লরি ও পিকআপ ভ্যানে তুলে নিয়ে যান। আবার অনেক ক্রেতা কাপড় কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে নিজ এলাকায় পাঠাচ্ছেন। সব মিলিয়ে হাটের দিনগুলোতে প্রতিদিন অন্তত ৪০০-৫০০ ট্রাক কাপড় যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।

হাটের ব্যবসায়ীরা জানান, সারা বছরের মধ্যে রোজার ঈদের সময়টাতেই দেশের নানা প্রান্তের ক্রেতারা বেশি সংখ্যায় পাইকারী দামে কাপড় কিনতে এই হাটে আসেন।

ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম জানান, এই হাটের একজন নিয়মিত পাইকার। রুমাল থেকে কাফনের কাপড় পর্যন্ত সবকিছুই পাওয়া যায় এ হাটে। তবে এখন আর আগের মত বেচাকেনা না থাকায় আসা হয় কম।

শেখেরচর-বাবুরহাট বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, গতবারের চেয়েও এবারের ঈদে বেচাকেনা কম হচ্ছে। কারণ উৎপাদনে খরচ বেশি হওয়ায় কাপড়ের দাম বেড়ে গেছে। বাবুরহাটে প্রতি সপ্তাহে দেড় থেকে দুইশো কোটি টাকার লেনদেন হয়। কিন্তু এ বছরও এক হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হবে না বলে ধারণা করছেন বণিক সমিতির এই নেতা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close