আবদুর রহমান ইমন, সন্দ্বীপ (চট্টগ্রাম)

  ৩০ মার্চ, ২০২৪

চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ

রাত হলেই শুরু মাটি কাটা জরিমানায়ও হচ্ছে না কাজ

ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করলেও আমলে নিচ্ছেন না মাটি ব্যবসায়ীরা * অধিকাংশ মাটিখেকোরা ধরাছোঁয়ার বাইরে

সন্দ্বীপের রাতের আঁধারে সরকারি খাস জায়গা ও বেড়িবাঁধের বাইরে মাটি কেটে বিক্রি করছে কয়েকটি চক্র। সন্দ্বীপ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, রাত ১০টার পর থেকে ভোর পর্যন্ত আইন অমান্য করে এক্সকাভেটর দিয়ে বেড়িবাঁধের বাইরের থেকে ফসলি জমির থেকে মাটি কাটা হচ্ছে। উপজেলার প্রতিটি এলাকায় সিন্ডিকেট করে মাটি কাটা চলছে। প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় একাধিক চক্র রাতে মাটি কেটে বিক্রি করলেও প্রশাসন উদাসীন। স্থানীয় প্রশাসন মাঝেমধ্যে দুয়েকটি স্থানে অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা আদায় করলেও তা আমলে নিচ্ছেন না মাটি ব্যবসায়ীরা। এসব অভিযান আর জরিমানা তার গায়ে মাখছে না। এতে অধিকাংশ মাটিখেকোরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে।

গত ১৮ মার্চ সন্দ্বীপে রাতের আঁধারে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (ভূমি) সৈয়দ মুরাদ ইসলাম অবৈধ মাটি কাটার দায়ে ২ ট্রাক জব্দ করে ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন বলে জানান। তিনি বলেন, অবৈধ মাটি কাটা বন্ধে অভিযান পরিচালনা করে ট্রাক মালিকদের জরিমানার আওতায় আনা হচ্ছে।

২০-৩০ ফুট গভীর করে মাটি কাটার ফলে ধীরে ধীরে ফসলি জমি পুকুরে পরিণত হচ্ছে। সন্দ্বীপের বিভিন্ন প্রান্তে চর দিলেও এভাবে লাগামহীন মাটিকাটা হলে হলে পুনরায় ভাঙন শুরুহতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। উপজেলার রহমতপুর, মগধরা, মগধরা, আজিমপুর, সন্তোষপুর, কালাপানিয়াসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের সরকারি খাস জমি। ও ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। মাটি ব্যবসায়ীরা রাতের সময়কে উত্তম সময় হিসাবে বেছে নিয়েছে।

সন্দ্বীপ অধিকার আন্দোলনের সভাপতি হাসানুজ্জামান সন্দ্বীপী বলেন, বালিমহাল ও মাটিব্যবস্থাপনা আইন অতিক্রম করে দিনে রাতে মাটি কাটছে একটি চক্র। কাঁচারাস্তাগুলো ধ্বংস করে ও রোজাদারদের ঘুম হারাম করার পরও কেউ যেন দেখার নেই। উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি আরো বলেন, মাটিকাটা বন্ধে আমরা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। অধিকাংশ এলাকায় প্রকাশ্যে রাতে ও দিনে দেদারসে মাটি কাটলেও রহস্যজনক কারণে ওসব স্থানে কোনো অভিযান পরিচালনা করা হয় না।

সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, মাটি কাটার জন্য এখন আর কেউ বলেকয়ে কাটে না। যতটুকু পারছি ব্যবস্থা নিচ্ছি।

সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিগ্যান চাকমা বলেন, সার্বিক বিষয় জেনে সরকারি খাস জমি ও বেড়িবাঁধের বাইরের জমি থেকে মাটি কাটা ও বিক্রির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close