মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি

  ২৩ মার্চ, ২০২৪

জেলেদের ৪০ কেজি চালে ৬ কেজিই কম

মঠবাড়িয়ায় অভিযোগ

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় মৎস্য সংরক্ষণ মৌসুমে কর্মহীন জেলেদের চাল বিতরণে ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বেতমোর রাজপাড়া ইউনিয়নে এক মাসের ভিজিএফ ৪০ কেজি চালের স্থলে প্রত্যেক জেলে ৫-৬ কেজি চাল ওজনে কম পেয়েছেন বলে অভিযোগ তাদের। এদিকে চাল কম দেওয়ার সত্যতা পেলে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে মঠবাড়িয়া (ভারপ্রাপ্ত) উপজেলা নির্বহী কর্মকর্তা।

ইউনিয়নের ঘোখখালি গ্রামের আলম বিশ্বাস, কুদ্দুস সরকার, মফিজ উদ্দিন, রুহুল আমিন, এমাদুল হক, ও নিজামিয়া গ্রামের মজিদ জানান, গত বৃহস্পতিবার দিনভর বেতমোর রাজপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে ৩০ কেজি ওজনের বস্তা খুলে ওজন মাপা যন্ত্র ছাড়াই বালতি দিয়ে মেপে জেলেদের বস্তায় ভরে দেওয়া হয় চাল। ৮৯০ জন জেলের জনপ্রতি মার্চ মাসে ৪০ কেজি চাল দেওয়ার কথা। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা মৎস্য অফিসের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে প্রতি জেলে পরিবারের মধ্যে ৫ থেকে ৬ কেজি ওজনে কম দিয়ে বিতরণ করা হয়েছে। এতে জেলেদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এসময় বিক্ষুব্ধ জেলেরা ওজনে কম দেওয়ার বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সাংবাদিকদের অবহিত করেন। জেলেদের তালিকা থেকে নাম কেটে দেওয়ার ভয়ে কোনো জেলে প্রতিবাদ করছে না।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উলুবাড়িয়া গ্রামের জেলে আলম বিশ্বাস এর চাল ৪০ কেজির পরিবর্তে তাকে ৩৪ কেজি চাল দেওয়া হয়েছে।

বেতমোর রাজপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন আকন বলেন, আমরা জনপ্রতি জেলেকে ৪০ কেজির পরিবর্তে ৩৮ চাল বিতরণ করছি। কারণ বস্তায় চাল ঘাটতি, শ্রমিকদের মজুরির জন্য কিছু চাল কম দিতে হচ্ছে।

মঠবাড়িয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম জানান, ইউপি চেয়ারম্যান কম দিয়েছে কি না তার জানা নেই। তবে কার্ডধারী জেলেদের প্রতি মাসে ৪০ কেজি করে চাল দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে।

মঠবাড়িয়া ইউএনও ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈকত রায়হান জানান, চাল কম দেওয়ার সত্যতা পেলে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close