মানিকগঞ্জের সিংগাইরে নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করে রাস্তার পুনর্নির্মাণকাজ চলছে- এমন অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। উপজেলার জামশা ইউনিয়নের আব্দুল ফকিরের বাড়ি হতে বলধারা ইউনিয়নের বড় কালিয়াকৈর (বাঙ্গালা) বাজার পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার কাজ চলছে।

এতে নাম্বারবিহীন ইটের খোয়া ব্যবহার করে দ্রুত গতিতে কাজ শেষ করার চেষ্টা করছে ঠিকাদার আবু সাঈদ। ঠিকাদার প্রভাবশালী হওয়ায় এলাকাবাসী বাধা দিলেও কোনো কাজ হচ্ছে না।

সরেজমিনে ঘুরে এর সত্যতা পাওয়া যায়। এ সময় রাস্তা তদারকি করার কাউকে দেখা যায়নি।

জামশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. শহিদ মিয়া, জামশা এলাকার গোলাই মহল্লার মানিক, শরিফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ আলী অভিযোগ করে জানায়, নিম্নমানের ইটের খোয়া (রাবিস) বিছিয়ে রাস্তার কাজ করছে। এতে অল্পদিনের মধ্যেই রাস্তা নষ্ট হয়ে যাবে। আগের মত ভোগান্তিতে পরতে হবে। আমরা বাধা দিলেও কোনো কাজ হচ্ছে না। তাই আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করছেন বলে জানান তারা।

এদিকে ঠিকাদার আবু সাঈদ বলেন, ‘আমি তো এক নাম্বার ইট ক্রয় করেছি। যদি নিম্নমানের হয় সরিয়ে ফেলবো।’

এ কাজের দেখাশুনার দায়িত্বে থাকা উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের সার্ভেয়ার মো. আব্দুল মালেক রাস্তার কাজে নিম্নমানের খোয়া ব্যবহারের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা ঠিকাদারকে দ্রুত খোয়া সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছি।

সিংগাইর উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইসমাইল হোসেন জানান, নিম্নমানের ওইসব খোয়া সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। খোয়া না সরালে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

"