তৌহিদুল ইসলাম কবির, রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর)

  ২৯ জানুয়ারি, ২০২৪

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পানি নেই এক মাস, দুর্ভোগ

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রায় ১ মাস থেকে পুরুষ ওয়ার্ডের বাথরুমে পানি নেই। একই সময় থেকে মহিলা ওয়ার্ডের বাথরুমেও পানি ছিলোনা। কিন্তু কয়েকদিন আগে হাসপাতাল কতৃপক্ষ মহিলা ওয়ার্ডে পানির সমস্যা সমাধান করলেও পুরুষ ওয়ার্ডে পানির সমস্যা সমাধান করেনি। ফলে হাসপাতালে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসা পুরুষ রোগীরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

সরেজমিনে পুরুষ ওয়ার্ডে দেখা গেছে, ৩-৪ জন রোগী বাদে পুরো ওয়ার্ড ফাঁকা। এ সময় রোগীরা জানায় দীর্ঘদিন থেকে বাথরুমে পানি নেই। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন হাসপাতালে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা।

পানি না থাকায় ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে বাথরুমগুলো। বাইরের পানি দিয়ে জরুরি কাজ সারলেও প্যান উপচে পড়ছে মলমূত্র। এতে মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। ডাক্তার বা নার্সদের জিজ্ঞাসা করলে তারা

টিউবয়েলের মোটর নষ্ট হয়ে গেছে বলে উত্তর দেয় এবং যার যার পানি তাকে ব্যবস্থা করতে বলেন।

শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে আক্রান্ত সিরাজ মিঞা বলেন, ভর্তি হওয়ার পর থেকেই দেখছি পানি নেই। বাথরুমে যাইতেই পারিনা। বাথরুমের দুর্গন্ধ পুরো রুমে চড়িয়ে পড়েছে। নিজের সিটে বসে থাকাটাও মুশকিল।

উপজেলার শেখপুরা থেকে আসা ৬৫ বছর বয়সী কালু মিয়া জানায়, ঠান্ডা জনিত বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ৪ দিন ধরে হসপিটালে ভর্তি। বাথরুমে পানি নেই, চরম দুর্গন্ধ। নিচ থেকে ওনার স্ত্রীকে পানি আনতে হয়। দুর্ভোগের কারণে চলে যাবেন বলে জানান তিনি।

সালেহ আহম্মেদের সঙ্গে আসা তার স্ত্রী সুমি আক্তার বলেন, ‘আজ ১০ দিন আমার স্বামীকে নিয়ে এখানে আছি। বাথরুমের অবস্থা খারাপ দেখি অনেক রোগীরা চলি যাইতেগিন আছে। নিজের ইচ্ছামতন চলি যায়। আমরা যাইতে পারিনা, আমার স্বামীর সমস্যা বেশি।’

রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গুনময় পোদ্দার প্রতিদিনের সংবাদকে জানান, হাসপাতাল এবং হাসপাতালের আবাসিক এলাকার একমাত্র পানির উৎস বড় পাম্পটি গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর সম্পূর্ণভাবে বিকল হয়ে যায়। পাম্পটি বিকল হওয়ার ৬ মাস আগে লবণাক্ত এবং ময়লা পানি আসার কারণে হেলথ্ ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টে চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছি। বারবার বলার পরেও তারা বিষয়টা কর্ণপাত করেননি।

ডা. গুনময় পোদ্দার আরো জানান, পরবর্তীতে পানির পাম্পটি নষ্ট হওয়ার পরে তাদেরকে আবারো যথাযথ মাধ্যমে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠি দেওয়ার পরে ওনারা শুধুমাত্র মহিলা ওয়ার্ডে পানি সরবরাহ টেম্পোরারি নিশ্চিত করতে পেরেছেন। কিন্তু বড় মোটরটা ঠিক করার ব্যাপারে এখনো আমাদেরকে সঠিক ডেডলাইন দিতে পারেন নি। যে কারণে পানির অভাবে এখন আমাদের ওয়ার্ডে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ব্যাহত হচ্ছে। রোগীদের অসুবিধা হচ্ছে।

জানতে এ বিষয়ে রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. শারমিন ইসলামের মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি কল রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া যায়নি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close