মাসুম বিল্লাহ, শালিখা (মাগুরা)

  ২৮ জানুয়ারি, ২০২৪

মাগুরার শালিখা

কাপড় ছেড়ে পিঠায় খুশি মারফত

শীতকাল এলেই কদর বাড়ে ভাপা পিঠার। আর এই পিঠা বিক্রি করে শীত মৌসুমে পরিবারের ভরণপোষণের জোগাড় করেন অনেকে। এমনই এক পিঠা বিক্রেতা মাগুরার শালিখার আড়পাড়া পশ্চিমপাড়ার মারফত আলী। যিনি টানা ৪ বছর ধরে মাগুরা-যশোর হাইওয়ের পাশে একটি ভ্রাম্যমাণ দোকান খুলে করছেন পিঠার ব্যবসা। প্রতিদিন ১০ টাকা দরে ৬০০ থেকে থেকে ৭০০ পিঠা বিক্রি করেন। সঙ্গে ছোলা (বুট) ভুনা। যেখান থেকে প্রতি মাসে অর্ধলাখের বেশি টাকা আয় করেন তিনি।

মারফত আলী বলেন, চার বছর আগে আড়পাড়ার বাজারে কাপড়ের ব্যবসা করতাম। ব্যবসায় খুব একটা বেশি লাভ হতো না তাই চিন্তা করলাম অন্য কিছু করার। মূলত সেখান থেকেই ভাপা পিটা বিক্রির চিন্তা মাথায় আনি এবং কার্যক্রম শুরু করি। এখন ইনশাল্লাহ ভাপা পিঠা বিক্রি করে বেশ ভালোই আছি। এখন আর পরিবারে তেমন অভাব নেই।

সরেজমিনে দেখা যায়, স্থানীয় বিভিন্ন এলাকার লোকজন বিকেল হলেই ভাপা পিঠা খেতে ভিড় জমান মারফত আলীর দোকানে। দোকানটি হাইওয়ের পাশে হওয়ায় পথচারীরাও পিঠা কিনতে যান সেখানে। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত অবধি চলে পিঠা বিক্রির ধুম। পিঠা তৈরিতে মারফত আলী ও তার দুজন কর্মী দিনভর ব্যস্ত সময় পার করেন।

পিঠা কিনতে আসা মৃন্ময় জানান, তিনি প্রতিদিন সন্ধ্যায় এখানে পিঠা খেয়ে বাড়িতেও নিয়ে যান।

যাবার সময় সঙ্গ করে কিছু পিঠা নিয়ে যাই। অপর এক পিঠা ক্রেতা আক্কাস আলী বলেন, মারফত আলীর পিঠা অনেক সুস্বাদু হওয়ায় বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন এখানে আসে।

পিঠা বিক্রেতা মারফত আলী বলেন, চিনি নারকেল, সরকারি কোনো সহযোগিতা পেলে আমার পিঠা ব্যবসাটা আরও প্রসারিত করতে পারতাম। তাতে আমার এখানে আরো দু-তিনজন ছেলেকে কাজ দিতে পারতাম।

সেওজগাতি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন বিশ্বাস বলেন, পিঠা বাঙালি সংস্কৃতির একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ, তাই পিঠার প্রতি মানুষের সবসময় একটা ভালোবাসা রয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close