ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল
অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ ভোগান্তিতে ব্যবসায়ী ও ক্রেতা
প্রতি হাটে ১৫০টি গরু ও ২৫০ থেকে ৩০০ ছাগল ক্রয়-বিক্রয় হয় * অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস উপজেলা সহকারী কমিশনারের
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে হোপপীর হাটে গরু, ছাগল, অটোভ্যান, সাইকেল ক্রয়-বিক্রয়ে ব্যবসায়ী ও সাধারণ ক্রেতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা।
জানা গেছে, ক্ষেতলালের সবচেয়ে বড় হোপপীর হাটটি বসে সপ্তাহের মঙ্গল ও শুক্রবার। হাটে আশপাশের জেলাগুলো থেকেও ব্যবসায়ী, ক্রেতা-বিক্রেতারা আসে। বিভিন্ন গৃহপালিত পশু ছাড়াও বাইসাইকেল, অটোভ্যানসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিসপত্র এ হাটে ক্রয়-বিক্রয় হয়।
সরেজমিন দেখা গেছে, সরকার নির্ধারিত টোল অনুযায়ী হাটে গরু প্রতি ৫০০, ছাগল ২৬০, অটোভ্যান ও সাইকেল ১৬০ টাকা টোল আদায়ের নিয়ম রয়েছে। হাটে এ-সংক্রান্ত একটি টোল চার্টে বিল বোর্ডও ঝুলিয়েছে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়। তবে ইজারাদাররা সুকৌশলে প্রতি গরু ক্রয়-বিক্রয়ে ৫০০ টাকার পরিবর্তে ৫৫০ টাকা আদায় করছে। একইভাবে ছাগল ক্রয়-বিক্রয়ে ২৬০ টাকার পরিবর্তে ২৮০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বাইসাইকেল, রিকশা ও অটোভ্যান ক্রয়-বিক্রয়েও অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে। প্রতি হাটে ১৫০টি গরু ও ২৫০ থেকে ৩০০টি ছাগল ক্রয়-বিক্রয় হয়।
হাটে গরু-ছাগল ক্রয়-বিক্রয় করতে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি এসব অনিয়মের বিষয়ে জানান। অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার ব্যাপারে তারা আরো জানিয়েছেন এখানে তাদের করার কিছুই নেই। কর্তৃপক্ষ যেভাবে নিচ্ছে সেভাবে দিতে তারা বাধ্য হচ্ছেন।
অতিরিক্ত টাকা কেন নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে হাট পরিচালনার দায়িত্বে থাকা আহামেদুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, সরকারি নিয়মেই টাকা নেওয়া হয়। আমরা প্রতি গরু ৫০০ এবং ছাগল ২৬০ টাকা পাই। আর বাকিটা যারা বিক্রয় রশিদ লিখনীর দায়িত্বে থাকে তারা নেয়।
ইজারাদার রাসেল দেওয়ান মিলন মোবাইলে বলেন, জয়পুরহাট, পাঁচবিবি হাটের সঙ্গে সমন্বয় করেই হোপপীর হাটে টোল আদায় করা হয়। সামনের দিন হাটে গিয়ে বিষয়টি দেখব। কেউ বেশি নিলে শিথিল করে দেব।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিন্নাতুল আরা বলেন, এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে শুনিনি। তহসিলদারকে ওখানে পাঠিয়েছি। টোল আদায়ের চার্ট লাগানো আছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
"