চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

  ২৪ জানুয়ারি, ২০২৪

যোগদান করেই অবসরে ২৪ শিক্ষক-কর্মচারী

কুড়িগ্রামে চিলমারী ডিগ্রি কলেজের ৬৭ শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে যোগদান করেই অবসরে গেলেন ২৪ জন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৫ শিক্ষক ও ২ কর্মচারী মিলে মোট ৭ জন। ৬৭ শিক্ষক-কর্মচারী সরকারি হলেও কলেজটিতে রয়েছেন ৪৩ জন। ঘটনাটি ঘটেছে সম্প্রতি সরকারীকরণ হওয়া এ কলেজে।

জানা গেছে, চিলমারী ডিগ্রি কলেজ ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। উপজেলাভিত্তিক একটি কলেজ জাতীয়করণের লক্ষ্যে এটিকে ২০১৮ সালের ৮ আগস্ট সরকারীকরণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর প্রতিষ্ঠানটি ৪৮ নন-ক্যাডার শিক্ষক ও ১৯ কর্মচারী মিলে ৬৭ জনের জন্য গত ৪ জানুয়ারি নিয়োগপত্র ইস্যু করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। এদের মধ্যে জীবিত আছেন ৬০ শিক্ষক-কর্মচারী। সেই অনুযায়ী গত ১০ জানুয়ারি কলেজটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে যোগদান করেন আবদুল মোত্তালেব। পরবর্তী সময়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কাছে বাকি ৫৯ শিক্ষক-কর্মচারী তাদের নিজ নিজ যোগদানপত্র দাখিল করার কথা।

সরেজমিন চিলমারী সরকারি কলেজে দেখা গেছে, সম্প্রতি সরকারি হওয়া প্রতিষ্ঠানটির জন্য ৪৮ শিক্ষক (নন-ক্যাডার) ও ১৯ কর্মচারী (প্রদর্শকসহ) মিলে ৬৭ শিক্ষক-কর্মচারীর নামে নিয়োগপত্র ইস্যু হয়েছে। এর মধ্যে ২০ শিক্ষক (জীবিত ১৫, মৃত ৫) ও ৪ কর্মচারী (জীবিত ২, মৃত ২) মিলে ২৪ শিক্ষক-কর্মচারী যোগদান করেই অবসরে যান। ২০১৮ সালের ৮ আগস্ট থেকে সরকারীকরণের ঘোষণা থাকায় ওই তারিখের পরে অবসরে যাওয়া এবং মৃত ২৪ শিক্ষক-কর্মচারী আনুপাতিক হারে সরকারি সুবিধা পাবেন বলে জানা গেছে। ফলে সরকারি হওয়া ওই কলেজটি মাত্র ২৮ শিক্ষক ও ১৫ কর্মচারী নিয়ে উপজেলার একমাত্র সরকারি ডিগ্রি কলেজ হিসেবে যাত্রা শুরু করে। কলেজটিতে মাত্র ৪৩ শিক্ষক-কর্মচারী দিয়ে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনায় বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে ধারণা শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের।

কলেজটির ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক জিয়াউর রহমান জুয়েল জানান, এক যুগেরও বেশি সময় ধরে এমপিওভুক্ত শিক্ষক হিসেবে এ কলেজে পাঠদান করাচ্ছি। এখন থেকে প্রতিষ্ঠান এবং আমরা সরকারি হওয়ায় আনন্দিত। সরকারি হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি এলাকার শিক্ষা ক্ষেত্রে আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করছি।

চিলমারী সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুল মোত্তালেব জানান, সরকারীকরণের নিয়মানুযায়ী গত ১০ জানুয়ারি তিনি মন্ত্রণালয়ে গিয়ে যোগদান করেছেন। বাকি শিক্ষক-কর্মচারীদের যোগদানপ্রত্র গ্রহণ করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর দায়িত্ব তার। এখন পর্যন্ত সবার যোগদানপত্র জমা হয়নি। যোগদানপত্রগুলো পেলে আনুষঙ্গিক কার্যাবলী শেষে ডিজি অফিসে জমার কথাও জানান তিনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close