নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি

  ২৩ জানুয়ারি, ২০২৪

নাদামপুর উচ্চবিদ্যালয়

দুই শ্রেণিকক্ষ দখলে নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বসবাস

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের নাদামপুর উচ্চবিদ্যালয়ের দুটি শ্রেণিকক্ষকে আবাসস্থল হিসেবে ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তবে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার দাবি, পরিবার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক মরিয়ম বেগম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে বসবাস করলেও বিষয়টি তার জানা নেই।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের মাধ্যমেই তিনি সেখানে বসবাস করছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয় ভবনটির দোতলায় দুটি শ্রেণিকক্ষে মা-সন্তান নিয়ে বসবাস করছেন মরিয়ম বেগম। দুটি শ্রেণিকক্ষের ভেতরে দামি খাট, আসবাবপত্রসহ অনেক দামি মালামাল রয়েছে। ঘর সাজানোর জন্য নানা ধরনের আসবাবপত্র তৈরি করে নিয়েছেন তারা। এ ছাড়া গ্যাস সিলিন্ডার, বিদ্যুতের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের গাছের ডালপালা ব্যবহার হচ্ছে চুলার আগুনের কাজে। ছাত্রীদের ব্যবহারের টয়লেটও দখলে নিয়েছেন তারা।

প্রধান শিক্ষক প্রতিদিনের সংবাদকে জানান, গত ৫ বছর তিনি স্পেশাল থাকার রুম হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন এবং প্রতি মাসের রুম ভাড়া বাবদ ব্যবস্থাপনা কমিটিকে টাকা দিয়ে আসছেন। তিনি আরো বলেন, ‘২০১৮ সাল থেকে ওই দুই শ্রেণিকক্ষে বাসস্থান হিসেবে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি খালেদ আহমেদ পাঠানসহ কমিটির নেতারা। আমি বিদ্যালয়ের অব্যবহৃত কক্ষেই বসবাস করি, এটা সবাই জানে। আপনি শিক্ষা অফিসারকে জিজ্ঞেস করেন।’

একপর্যায়ে ওই প্রধান শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিনিধিকে বলেন, ‘আমি এইখানে থাকি, আপনাদের সমস্যা কী? আপনারা যা পারেন করেন।’

ওই এলাকার একাধিক অভিভাবক জানান, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সাহায্য নিয়েই দীর্ঘদিন ধরে মরিয়ম বেগম বিদ্যালয়ের কক্ষ দুটি দখল করে বসবাস করছেন। স্কুলের প্রধান

শিক্ষক হওয়ায় কেউ তাকে কিছু বলার সাহস পান না।

ওই ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান নোমান আহমেদ বলেন, ‘ওই প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে পরিবার নিয়ে থাকছেন। তার জন্য আসলে আলাদা করেও বাসভবনের ব্যবস্থা নেই। ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতিসহ কয়েকজনের সঙ্গে আলাপ করছি, বিষয়টি দেখব।

ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি খালেদ আহমেদের মোবাইলে কল করলে তিনি রিসিভ করেননি।

নবীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ আলম বলেন, ‘শ্রেণিকক্ষ দখল করে থাকার বিষয়টি আমার জানা নেই। লিখিত অভিযোগ পেলে খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনুপম দাস অনুপ বলেন, ‘বিষয়টি আমারও জানা নেই। লিখিত অভিযোগ পেলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে সরেজমিনে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলব।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close