সাতক্ষীরার কলারোয়ায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল ইসলাম লাল্টুর নির্বাচনী সভায় প্রকাশ্যে ভোট চাইলেন কলারোয়া পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক শওকত হোসেন।

গত রবিবার ৫ মে বিকেলের দিকে পৌরসভার গদখালী গ্রামে ওই নির্বাচনী সভায় ভোট চান বিএনপি নেতা শওকত হোসেন। বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে রাজনৈতিক মহলে।

সভায় বিএনপি নেতা শওকত হোসেন বক্তব্যকালে পাশে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী যুবলীগ নেতা মফিজুল ইসলাম লাভলুসহ আওয়ামী লীগ নেতারা ছিলেন। বক্তৃতার একপর্যায়ে বিএনপি নেতা শওকত দুই হাত উঁচু করে আওয়ামী লীগ নেতাদের ভোট দেওয়ার জন্য উপস্থিত জনসাধারণকে অঙ্গীকার করান।

বিএনপি ভোট বর্জন করছে তবুও তিনি কেন সরাসরি আওয়ামী লীগ নেতাদের নির্বাচনী উঠান বৈঠকে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখলেন এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপি নেতা শওকত হোসেন বলেন, ‘একজায়গায় বাড়ি সেই হিসেবে দুটো কথা বলতে হইছে। আমি এড়াতে পারিনি। তাতে যদি বিএনপি ব্যবস্থা নেয়, তা নিক।’

কলারোয়া উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র অধ্যক্ষ রইছ উদ্দিন এ বিষয়ে বলেন, ‘বিএনপি ভোট বর্জন করছে। সেখানে দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ভোট কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হওয়ার কোন সুযোগ নেই। শওকত হোসেনের বিষয়টা আমি জানি না। আমি খোঁজ নিয়ে দেখবো। যদি এমনটা হয় তবে অবশ্যই সংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মুখপাত্র অধ্যক্ষ রইছ উদ্দিন আরো বলেন, বিএনপি কেন্দ্রীয়ভাবে জাতীয় নির্বাচনের পর উপজেলা নির্বাচনও বর্জন করছে। সেখানে নির্বাচনে অংশগ্রহণ, ভোট কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হওয়া বা ভোট দিতে যাওয়া বিএনপির সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখানো। যারা বিএনপিকে ভালোবাসেন তারা অবশ্যই দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিবেন। তা না হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয়ভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্যকারীদের বহিষ্কার করা হচ্ছে।

এদিকে কলারোয়া পৌর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শওকত হোসেনের প্রকাশ্যে এরূপ কর্মকাণ্ডে সাধারণ বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে পারে বলে নেতাকর্মীরা মনে করছেন। তারা অবিলম্বে শওকত হোসেনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

পিডিএস/আরডি