কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি

  ১৩ জানুয়ারি, ২০২৪

যৌন হয়রানির শিকার স্কুলছাত্রী আতঙ্কে পরিবার

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া

গোপালগঞ্জে যৌনহয়রানির শিকার হয়ে স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছিল এক ছাত্রী। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরে প্রধান শিক্ষকের প্রতিশ্রুতিতে ওই ছাত্রী স্কুলে আসা শুরু করেছে। তবে আতংকে রয়েছে ওই ছাত্রীর বাবা ও মা। কোটালীপাড়া উপজেলায় এই ঘটনাটি ঘটেছে।

জানা গেছে, উপজেলায় বসবাসরত রনজিৎ হালদার (৫০) স্কুলে যাওয়া আসার পথে ওই ছাত্রীকে প্রতিনিয়ত যৌনহয়রানি করে আসছিল। একটা সময় ওই ছাত্রী ভয়ে স্কুলে যাওয়া আসা বন্ধ করে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীর মা-বাবা তাদের মেয়ের কাছে স্কুলে না যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে ওই ছাত্রী বিষয়টি তার মা-বাবাকে জানায়। পরবর্তীতে ওই ছাত্রীর মা-বাবা বিষয়টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নারায়ন চন্দ্র হালদারকে জানালে তার প্রতিশ্রুতিতে গত বুধবার থেকে মেয়েটি বিদ্যালয়ে আসা শুরু করেছে।

ভুক্তোভোগী ওই ছাত্রীর বাবা বলেন, রনজিৎ হালদার দুইমাস ধরে প্রতিনিয়ত স্কুলে যাওয়া আসার পথে আমার মেয়েকে যৌনহয়রানি করে আসছিল। একটা সময় সে ভয়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। সে আমাদের ঘটনাটি জানায়। আমরা বিষয়টি প্রধান শিক্ষক নারায়ন চন্দ্র হালদারকে জানালে তার প্রতিশ্রুতিতে আমার মেয়ে স্কুলে আসা শুরু করেছে। তবে সবাই পারিবারিক ভাবে আতংকে রয়েছি।

বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক নারায়ন চন্দ্র হালদার বলেন, ঘটনাটি আমি জানার পর ওই ছাত্রীর বাবাকে দিয়ে ইউএনও কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করিয়েছি। আমিও বিষয়টি নিয়ে ইউএনও স্যারের সঙ্গে কথা বলেছি।

এদিকে এ বিষয়ে জানার জন্য রনজিৎ হালদারের পৈত্রিক বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে ওনার ভাই সঞ্জয় হালদার বলেন, ‘আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ উঠেছিল। সেটি পারিবারিক ভাবে মিমাংসা হয়ে গেছে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিম উদ্দিন বলেন, ‘ওই স্কুলছাত্রীর বাবা একটি অভিযোগ নিয়ে আমার কাছে এসেছিল। আমি বিষয়টি কোটালীপাড়া থানার ওসি তদন্ত করে দেখতে বলেছি। রনজিৎ হালদার দোষী হলে তার বিরুদ্ধে আইনগতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close