ধনবাড়ী (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
ঘুষের টাকা ফেরত চাওয়ায় অন্তঃসত্ত্বাকে কিল-ঘুষি
অভিযোগ মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার সহকারীর বিরুদ্ধে

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা কার্যালয়ের প্রধান সহকারী আবদুর রশিদের বিরুদ্ধে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে কিল-ঘুষি মেরে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে। এ অবস্থায় আহত সুমাইয়া আক্তার লাভলীকে (২৩) দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘটনাটি প্রকাশ পেলে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। গত বুধবার (১৫ মার্চ) দুপুরে উপজেলা অফিস কক্ষে এ ঘটনা ঘটেছে। সুমাইয়ার বাড়ি ধোপাখালী ইউনিয়নের বিলপাড়া এলাকায়।
ভুক্তভোগী সুমাইয়া বলেন, ‘আমাকে অন্তঃসত্ত্বা কার্ড দেওয়ার কথা বলে একই ইউনিয়নের নরিল্যা গ্রামের মিনা আক্তারের মাধ্যমে ছয় হাজার টাকা নেয়। এ ছাড়া আবদুর রশিদ অন্তঃসত্ত্বা, শিশু ভাতা, চালের কার্ড ও ঘর দেওয়াসহ সরকারি নানা সুবিধা দেবে বলে জানান। প্রায় ৩০-৩৫ জন নারীর থেকে প্রায় দেড় লাখ টাকা আবদুর রশিদকে উঠিয়ে দেন মিনা আক্তার। কার্ড চাইতে গেলে কালক্ষেপণ করে। বুধবার দুপুরে সব ভুক্তভোগী ওই অফিসে ঘেরা করেন। এ সময় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে কিল-ঘুষি মারতে থাকে।’
ভুক্তভোগী রুমি আক্তার, নাসিমা বেগম, কহিনুর, শাহানাজ বেগম, সাবিনাসহ অনেকেই বলেন, ‘৩০ থেকে ৩৫ জন নারীর কাছ থেকে ৩ থেকে ৭ হাজার টাকা করে প্রায় দেড় লাখ টাকা নিয়েছে আবদুর রশিদ। অন্তঃসত্ত্বা লাভলীকে মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়।’
উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা মো. শওকত হোসেন বলেন, এটা কোনো অফিসের আর্থিক বিষয় নয়। এটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয়।
ধনবাড়ী থানার ওসি এইচ এম জসিম উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আবদুস রশিদকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
অন্তঃসত্ত্বা নারীকে মারধরের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসলাম হোসাইনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি একটি মিটিংয়ে যোগ দিয়েছিলাম। বিষয়টি জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
"