সঞ্জয় সুত্রধর, শিবালয় (মানিকগঞ্জ)

  ১৮ মার্চ, ২০২৩

মানকিগঞ্জের শিবালয়

ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক

* ৯-১০ ফুট গভীর করে মাটি কাটায় ফসলি জমিতে ডোবা * অভিযানের দু-এক দিনের মধ্যেই ফের শুরু মাটিকাটা

মানিকগঞ্জের শিবালয়ে ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি বন্ধ হচ্ছে। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার সবচেয়ে বেশি মাটি কাটা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় মাটি বিক্রির একাধিক চক্র দিনরাত মাটি কেটেছে। এদিকে গ্রামীণ সড়কে মাটি ভর্তি ট্রাক ও হাইট্রলিক ট্রাক্টর চলাচল করায় ২-৩ বছরের মধ্যেই সড়ক ভেঙ্গে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।

উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মাঝে মধ্যে অভিযান চালানো হলেও দু-এক দিনের মধ্যেই আবার এসব যান রাস্তায় দেখা যাচ্ছে।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন আইন এক্সকাভেটর (ভেকু) দিয়ে ফসলি জমির উর্বর মাটি (টপ সয়েল) কাটা হচ্ছে। মাটি ব্যবসায়ীরা এ মাটি বিক্রি করছেন স্থানীয় ইটভাটাগুলোতে। এ জন্য বর্ষা মৌসুম শেষে ইটভাটার মালিকদের সঙ্গে আগেই চুক্তি করে রাখেন মাটি ব্যবসায়ীরা।

জানা গেছে, উপজেলায় ৫টি ইটভাটা রয়েছে। এ সব ভাটায় ফসলি জমির টপ সয়েল কেটে ট্রাক দিয়ে নিয়ে স্তুপ করে রাখা হয়েছে। কৃষকদের টাকার লোভ দেখিয়ে ফসলি জমির মাটি বিক্রিতে উতসাহ করতে গ্রামে দালাল নিয়োগ দিয়েছে মাটি ব্যবসায়ীরা। আর লোভে ও চাপে পড়ে জমির মাটি বিক্রি করছেন কৃষকরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার দক্ষিণ শাকরাইল দেলোয়ার হোসেন, বীর বাশাইল আব্দুর রহমান, তাড়াইল শাহীনুর রহমান, শিমুলিয়া তারেকুল ইসলাম, কলাগারিয়া আওয়ালসহ ১৫-২০ জন মাটি ব্যবসায়ী তিন ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রি করছেন। ওই মাটি বিভিন্ন ইট ভাটায় নেওয়ায় গ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন সড়ক ভেঙ্গে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, ১০-১২ টন ভার বহন করার সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ টন পণ্য বহন করার ট্রাক দিয়ে ট্রাক মাটি নেওয়া হচ্ছে।

দক্ষিণ শাকরাইল মাটি ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন জানান, কয়েক জন সাংবাদিকসহ অনেককে ম্যানেজ করে ফসলি জমিতে পুকুর খনন করে মাটি কেটে মাটি বিক্রি করছেন। উপজেলা প্রশাসনে অনুমতি না থাকলেও পুকুর খনন ও মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। তবে ফসলি জমিতে মাটি কাটার জন্য কারও অনুমতি নেওয়া হয়নি।

উপজেলা প্রকৌশলী মোবারক হোসেন বলেন, গ্রামীণ সড়ক দিয়ে ট্রাক চলাচল করায় সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ার ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহিদুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close