মোস্তাফিজ, তালতলী (বরগুনা)

  ২৫ জানুয়ারি, ২০২৩

ভাঙা সেতুতে ১৬ বছর পার

বরগুনার তালতলী উপজেলার খোট্টার চর এলাকায় খালের উপর নির্মিত সেতু চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সেতুটি ২০০৭ সালের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় সিডরের আঘাতে ভেঙে ও মাটির নিচে দেবে যায়। দীর্ঘ ১৬ বছরেও সেতুটি সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ওই সড়কে চলাচলকারী লাখো মানুষকে।

শুধু সেতুই নয়, ওই এলাকার কাঁচা রাস্তাটিও সংস্কারের অভাবে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি হলেই সড়ক দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অন্যদিকে সেতুটি দ্রুত সংস্কার না হলে যেকোনো মুহূর্তে সম্পূর্ণ ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। উন্নয়ন বঞ্চনার শিকার অসহায় মানুষ ঘুরছেন জনপ্রতিনিধি ও সরকারি দপ্তরের দ্বারে দ্বারে।

জানা যায়, উপজেলার নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের খোট্টারচর ও মাছবাজার সংলগ্ন জেডি ঘাট খালের ওপর সেতুটি নির্মিত হয়। ২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় সিডরের আঘাতে সেতুর বিভিন্ন অংশ ভেঙে ও মাটির নিচে দেবে যায়। দীর্ঘ ১৬ বছরেও দেবে যাওয়া সংযোগ সেতুটি সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

সরেজমিন দেখা গেছে, নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়ন একাংশ খোট্টারচর এলাকা পায়রা নদীর তীরবর্তী হওয়ায় এখানকার মানুষ ঝড়, জলোচ্ছ্বাসে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব মানুষের উপজেলা শহরে যাওয়ার একটি মাত্র সংযোগ সেতু। প্রতিদিন হাজারো মানুষ যাতায়াত করে এ সেতু দিয়ে। সেতুটির নিচের লোহার পাইলিং ভেঙে গিয়ে আলাদা হয়ে গেছে। বন্যার আঘাতেও বিভিন্ন অংশ ভেঙে গেছে।

এ ছাড়া সেতুটি একদিকে হেলে পড়েছে ছোট কোনো যানবাহনও চলাচল করতে পারে না। ডনশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ডা. মো.কামরুজ্জামান বাচ্চু বলেন, সেতুটি আমার ইউনিয়নের সঙ্গে উপজেলা শহর ও পার্শ্ববর্তী খোট্টারচর এলাকাবাসীর যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম। হাজার হাজার গ্রামবাসী সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। দেবে যাওয়া সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও প্রতিদিন হাজারও মানুষ বাধ্য হয়ে চলাচল করছে। ভারি যানবাহন কয়েক কিলোমিটার ঘুরে উপজেলা সদরে যাতায়াত করে।

তালতলী উপজেলা প্রকৌশলী (স্থানীয় সরকার বিভাগ) মো. ইমতিয়াজ হোসাইন রাসেল, সেতু নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যেই সেতুর ডিজাইন সম্পন্ন হয়েছে, প্রাক্কলন অনুমোদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অনুমোদন পেলে নির্মাণকাজ শুরু হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close