সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

  ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২

কচুরিপানাই ভরসা

সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জের বিভিন্ন হাট বাজারে দ্রুতগতিতে বাড়ছে সব ধরনের গো-খাদ্যের দাম। পাশাপাশি বাড়ছে খড়ের দামও। অনেক কৃষককে কচুড়িপানা সংগ্রহ করতে দেখা গেছে। তাদের ভরসা এখন কচুরিপানা।

গরু মহিষের খাবার নিয়ে কৃষক ও খামার মালিকরা পড়েছেন চরম বিপাকে। কৃষক ও খামারিরা জানান, চার পাঁচ দিন ধরে উপজেলার নিমগাছি, ধানগড়া, চান্দাইকোনা, ভ্রম্যগাছা, ঘুড়কা, ভুইয়াগাতি, নলকা, কালিঞ্জা, হাটপাঙ্গাসী, গ্রামপাঙ্গাসী, এরান্দহ, কৃষ্ণদিয়াসহ এলাকার বিভিন্ন হাট বাজারে দফায় দফায় গো- খাদ্যের দাম বেড়ে ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। বাধ্য হয়ে অনেক কৃষক বিভিন্ন জলাশয় থেকে কচুড়িপানা সংগ্রহ করে তাদের পালিত গরুকে খাওয়াচ্ছেন।

এ বিষয়ে ভূইয়াগাতি গ্রামের কৃষক করিম এবং বিভিন্ন গ্রামের কয়েককজন কৃষকের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, বর্তমানে খড় ৭০০ থেকে ৮০০ শত টাকা মন, নেপিয়ার জাতের ঘাস এক আটি ১৫ টাকা, গমের ভূষি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, ভুট্টার গুড়া ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, ধানের গুড়া ১৮ থেকে ২০ টাকা, চালের খুদ ৩২ টাকা থেকে ৪০ টাকা, খৈল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে।

উপজেলার গ্রাম পাঙ্গাসি ও হাটপাঙ্গাসী বাজারের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, আমরা মহাজনের কাছ থেকে যে দামে মাল ক্রয় করে থাকি সেই অনুযায়ী বিক্রি করি। এদিকে উপজেলার গ্রামপাঙ্গাসী চাঁনপাড়া গ্রামের গরু ব্যবসায়ী নরুল ইসলাম বলেন, দিন দিন গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধির ফলে এবং সাধ্যমতে খড় না পেয়ে বাধ্য হয়ে খৈল, ভূষি, গুড়া, খুদ বাদ দিয়ে শুধু বিভিন্ন জলাশয় থেকে কচুড়িপানা সংগ্রহ করে গরুকে খাওয়ানো হচ্ছে। এতে গরুর স্বাস্থ্যহানি হচ্ছে। ফলে অনেক খামারি ও সাধারণ কৃষক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

এই ব্যবসায়ী আরও বলেন, আমি ৭ থেকে ৮ বছর ধরে গরুর ব্যবসা করলেও আজও পাইনি সরকারিভাবে কোন অর্থিক প্রণোদনা। এমতাবস্থায় সরকারি প্রণোদনা আশা করেন গরু ব্যবসায়ী নারুল ইসলামের মত অনেক ব্যবসায়ী ও সাধারণ গরুর মালিকগণ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close