ঢাকার নবাবগঞ্জে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ভূমি অফিসের নির্দেশ অমান্য করে রাস্তা দখল করে দেয়াল নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেই সঙ্গে দখল করা হচ্ছে ওই জমিতে থাকা বনবিভাগের গাছ। ঘটনাটি উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়নের ছোট তাশুল্লা এলাকার।

অভিযোগে জানা গেছে, ২০০৪-০৫ সালে বেসরকারী এনজিও সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশনের সমিতির উদ্যোগে সামাজিক বনায়নের অংশ হিসেবে তুইতাল থেকে জামসা পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার রাস্তার ধারে কাঠ জাতীয় গাছ রোপন করা হয়। ২ বছর আগে পাশর্^বর্তী খানেপুর এলাকার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান ছোট তাশুল্লা এলাকার এই জমিটি ক্রয় করেন। সম্প্রতি জমি দখলে নিতে রাস্তার সীমানা প্রাচীর নির্মাণ শুরু করেন। গাছগুলোকে সীমানা প্রাচীরের ভিতরে রেখে দখলের চেষ্টা করা হয়েছে। অনুমতি ছাড়াই কাটা হয়েছে কয়েকটি গাছ। এলাকাবাসী বাঁধা দিলেও তাতে তিনি থামেননি।

সরেজমিনে দেখা যায়, আধাপাকা ইটের রাস্তার কাছ ঘেষে দেয়াল নির্মাণ করছেন। নয়নশ্রী ভূমি অফিসের লোকজন কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলেও শ্রমিকরা কাজ করছিল। চলছিল আরো গাছকাটার পরিকল্পনা।

কাজের তত্ত্বাবধানে থাকা হাবিবুর রহমানের ছোট ভাই আবুল কালাম জানান, এটি তাদের ক্রয়কৃত সম্পত্তি। রাস্তাসহ তাদের জায়গা। রাস্ত ছেড়েই তারা দেয়াল নির্মাণ করছেন। তবে গাছ কাটার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।

স্থানীয় ঘোষপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সমীর মন্ডল জানান, গাছ লাগানোর সময় ওয়ার্ল্ড ভিশন সমিতির সুপারভাইজার ছিলেন তিনি। নিয়মানুযায়ী, গাছের ৪০ শতাংশ ইউনিয়ন পরিষদ, ৩০ শতাংশ রক্ষণাবেক্ষণকারী ও ৩০ শতাংশ বণবিভাগের পাওয়ার কথা ছিল বলেও জানান।

অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান বলেন, ‘জমিটি ২০০৮ সালে ক্রয় করেছি। নামজারি সম্পন্ন করে ভোগদখলে আছি। গাছগুলো আমারই। ইউনিয়ন ভূমি অফিস ও ইউনিয়ন পরিষদকে এ বিষয়ে জানিয়েছি। আমার কাগজ দেখে জমি বুঝিয়ে দিতে বলেছি।’

নয়নশ্রী ইউপি চেয়ারম্যান রিপন মোল্লা বলেন, অবৈধভাবে সরকারি গাছ কেটে দেওয়াল নির্মাণ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে নয়নশ্রী ইউনিয়ন ভূমি অফিসে জানালে তারা কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। সে বাঁধা তারা শুনছেন না। নয়নশ্রী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা বিমল চন্দ্র বোস বলেন, আমি ইউএনও ও এসিল্যান্ড স্যারের নির্দেশ সরেজমিনে গিয়েছিলাম। তদন্ত রিপোর্ট এসিল্যান্ড স্যারকে জানিয়েছি। রাস্তার জমি দখল করে দেওয়াল নির্মাণ করা হচ্ছে কি না তা জমি পরিমাপ করলে জানা যাবে। মঙ্গলবার এসিল্যান্ড স্যার কাজ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিষ্পত্তির আগে কাজ করার সুযোগ নেই।

"