শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

  ২৭ জানুয়ারি, ২০২০

শ্রীমঙ্গলে ছড়া দখল করে দোকান নির্মাণ

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সরকারি পাহাড়ি ছড়ার জায়গা অবৈধভাবে দখল করে নির্মাণ করা হচ্ছে দোকানসহ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। উপজেলার ফুলছড়া নামক ছড়ায় মাটি ভরাট করে পাকা স্থাপনা গড়ে তুলছেন স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী। ঢাকা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে অবস্থিত সকিনা সিএনজি পাম্প সংলগ্ন ফুলছড়া ব্রিজের পাশে এই স্থাপনা গড়ে তোলায় এ নিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হলেও আমলে নেয়নি দখলদাররা।

এ ব্যাপারে চলতি মাসের ২২ তারিখ এলাকাবাসী প্রাকৃতিক এই ছড়া রক্ষায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) হস্তক্ষেপ কামনা করে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলার আশিদ্রোন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জহর তরপদারের পক্ষের লোক আশিদ্রোন গ্রামের মৃত আসলাম মিয়ার ছেলে মুর্শেদ, দুরুদ মিয়ার ছেলে নুরুল ইসলাম, আইয়ুব আলী ও আমানতপুর গ্রামের রজব আলীর ছেলে শাহ আহমেদ অবৈধভাবে ছড়ার মধ্যে মাটি ভরাট করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। মাটি ভরাটের ফলে ছড়া সংকোচিত হয়ে ভাটিতে হাইল হাওরে পানি প্রবাহে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। এতে বর্ষা মৌসুমে উজানে দক্ষিণ উত্তরসুর ও ইসলামপুর এলাকায় বন্যা দেখা দেয়। ফলে ফসলি জমি তলিয়ে যাবার আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে ছড়া ঘেঁষে মহাসড়কমুখী সড়কের সংযোগস্থলে অপরিকল্পিতভাবে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠার ফলে আশিদ্রোন, ইসলামপুর ও কালিঘাট গ্রামের মানুষ ও যানবাহন চলাচলে বাঁধার সম্মুখিন হচ্ছে। এছাড়া এসব দোকানকোটার জন্য অপর প্রান্ত না দেখতে পাওয়ায় প্রায়ই যানবাহনের মুখোমুখি দূর্ঘটনা এবং লোকজন হতাহতের ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগে করেছেন স্থানীয়রা।

ইসলামপুর জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি আমির উদ্দিন জানান, দখলদাররা জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা ও ছড়া দখল করে দোকানকোটা নির্মাণের ফলে এলাকাবাসী অনেক দূর্ভোগে পড়েছেন এবং এনিয়ে জনসাধারণের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তিনি এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে প্রশাসনের নিকট দাবী জানান।

গতকাল রোববার সরজমিনে ঘটনাস্থলে দেখা যায়, সখিনা সিএনজি গ্যাস পাম্পের মাত্র ৫০ ফুট দূরত্বে এসব অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে। এ সময় দেখা যায় পূর্বের দোকানকোটার পাশে ছড়া দখল করে আরো নতুন করে একটি দোকানকোটা নির্মাণ করছেন মুর্শেদ মিয়া নামে এক ব্যক্তি। তিনি নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দাবী করেন।

আরেক দখলদার নুরুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হয় কিভাবে এখানে দোকানকোটা গড়ে তুললেন? উত্তরে তিনি জানান, আশিদ্রোন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জহর তরপদার তাদের এখানে বসিয়েছেন।

জানতে চাইলে আশিদ্রোন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জহর তরপদার এই প্রতিবেদককে জানান ‘তারা গরীব মানুষ।তাই আমি অস্থায়ীভাবে বসিয়েছি’।

যোগাযোগ করা হলে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুর রহমান মামুন এলাকাবাসীর অভিযোগ প্রাপ্তির কথা নিশ্চিত করে জানান, ‘ইউনিও স্যার ছুটিতে আছেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। স্যার আসলে করণীয় নির্ধারণ করা হবে’।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close