খুরশিদ আলম শাওন, রানীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)

  ০৬ আগস্ট, ২০১৯

পেরিয়ে গেছে সময় শেষ হয়নি কাজ

ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল পৌর শহরের ওপর দিয়ে যাওয়া মহাসড়কঘেঁষে ড্রেন ও ফুটপাত নির্মাণে বিলম্বের কারণে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই মহাসড়কের ওপর তৈরি হচ্ছে জলজট। এতে যানবাহনসহ চলাচলে ভোগান্তিতে পড়ছে পথচারীসহ পৌরবাসী। এদিকে চুক্তি অনুযায়ী ২ কোটি টাকার অধিক ব্যয়ে ড্রেন নির্মাণের সময় বাড়িয়েও কাজ সম্পূর্ণ করতে পারেনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলো।

পৌরবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে বর্তমান পৌর মেয়র ড্রেনের ব্যবস্থা করে দিলেও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ হচ্ছে না। এতে প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থীর রাণীশংকৈল ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ ভোগান্তিতে পড়েছে পৌরবাসী।

পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, জাপান বাংলাদেশ করপোরেশনের (জাইকা) অর্থায়নে এমএইচ করপোরেশন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান প্রায় ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকায় চাঁদনী থেকে মুক্তা হল ও পাইলট স্কুল রাস্তা ঘেঁষে ৭৩৫ মিটার ড্রেন নির্মাণের কাজ চুক্তি করে। এছাড়া প্রায় ৪৫ লাখ টাকায় মুক্তা হল থেকে বন্দর বড় ব্রিজ পর্যন্ত ৩৪৫ মিটার ড্রেন কাম ফুটপাত নির্মাণের চুক্তি করে মঈন এন্টারপ্রাইজ।

চুক্তি অনুযায়ি ২০১৮ হতে ২০১৯ সালের জুন মাসের মধ্যেই দুই প্রতিষ্ঠানের নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা ছিল। নির্মাণের সময় থেকে ১ মাস বেশি পেরিয়ে গেলেও এখনো ড্রেন নির্মাণ শেষ করতে পারেনি তারা। এতে চরম ভোগান্তি পড়েছে সংশ্লিষ্ট এরিয়ার দোকানদাররা।

স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে পৌর শহরের চাঁদনী এলাকা থেকে বন্দর চৌরাস্তা পর্যন্ত নির্মাণাধীন ড্রেনে গিয়ে দেখা যায়, কোথাও ড্রেন নির্মাণ হয়েছে, কোথাও ড্রেন নির্মাণের জন্য গড়ে প্রায় ৪ থেকে ৮ ফুট গভীর গর্ত করে রাখা হয়েছে। এছাড়া কোথাও রডের লাইন দাঁড় করিয়ে সিসি ঢালাইয়ের পর তার দিয়ে রড বেঁধে রাখা হয়েছে, কোথাও রডগুলো শুধু দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে ঢালাই দেওয়া হয়নি।

এদিকে ব্যসায়ীদের প্রতিষ্ঠান ঘেঁষে খনন করা ড্রেন দিনের পর দিন ধরে পড়ে আছে। এছাড়াও খননকৃত গর্তের মাটিতে যানবাহন চলাচলের সময় ব্যাপক ধুলার সৃষ্টি হচ্ছে। এই চিত্র পৌর শহরের ভুরপুর বন্দর চৌরাস্তা বাজার ও ব্যস্ততম এলাকার।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দোকানের সামনে প্রায় ৪ ফুট গর্ত। উপায় না পেয়ে কাঠের মাচা তৈরি করে ক্রেতাদের আসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মাচাগুলো বিপদজনক জেনেও এছাড়া কিছুই করার নেই বলে মন্তব্য দোকানীরা।

এবিষয়ে কথা বলতে এমএইচ করপোরেশন ঠিকাদার আহমেদ হোসেন বিপ্লব এবং মঈন এন্টারপ্রাইজ ঠিকাদার মোহাম্মদ মামুনের ব্যক্তিগত মুঠোফোনে যোগাযোগ করে তাদের সাড়া পাওয়া যায়নি। জানতে চাইলে জাইকার নগর প্রকৌশলী রাশেদুল আলম বলেন, আমরা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলোকে বার বার তাগাদা দিচ্ছি। তারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।

এ বিষয়ে কথা বলতে পৌর মেয়র আলমগীর সরকারের সঙ্গে স্থানীয়ভাবে এবং পরে প্রতিদিনের সংবাদ অফিস থেকে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে তার সাড়া পাওয়া যায়নি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close