মারুফ আহমেদ, কুমিল্লা

  ২৭ এপ্রিল, ২০১৯

কুমিল্লার স্কুলগুলোতে ভয়ংকর কিশোর গ্যাং

কুমিল্লা মহানগরীর স্কুলগুলোতে ভয়ংকরভাবে গড়ে উঠেছে কিশোর গ্যাং। এসব গ্যাংয়ের সদস্যদের ব্যাগে-পকেটে থাকছে ছুরিসহ দেশীয় ধারালো অস্ত্র। নগরীর বিভিন্ন স্টেশনারি ও কামারশালা থেকে এসব ধারালো অস্ত্র সহজেই কিনে নেয় বিভিন্ন গ্যাংয়ের সদস্যরা। এ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা বা আত্মঘাতী সংঘর্ষে। নগরীর সাম্প্রতিক সংঘর্ষ নিয়ে অনুসন্ধান ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

গত দুই বছরে এদের হাতে দুই ছাত্রের মৃত্যুসহ বিভিন্ন সময় ছুরিকাঘাতে কিশোর আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ গত রোববার রাতে কুমিল্লা মডার্ন হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মোস্তাহিন ইসলাম মিরনকে (১৪) ছুরিকাঘাত করে তার সহপাঠীরা। পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। তবে এসব কিশোর অপরাধ দমন করতে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানা পুলিশ নগরীর বিভিন্ন স্টেশনারি ও কামারের দোকানে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে ৪৫০টি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, নগরীর স্বনামধন্য বিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন নামে অন্তত অর্ধশত কিশোর গ্যাং গড়ে উঠেছে। এসব গ্যাংয়ের সদস্যরা জড়িয়ে পড়েছে নানা অপরাধ কর্মে। এক গ্রুপের সঙ্গে অন্য গ্রুপের সদস্যদের কথা কাটাকাটি হলে তা খুব সহজেই তারা খুন-খারাবিতে পরিণত হয়।

বিগত তথ্য থেকে দেখা গেছে, নগরীর ঠাকুরপাড়া রোডের মদিনা মসজিদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এর আগে গত ১৬ এপ্রিল কুমিল্লা জিলা স্কুলের শিক্ষার্থী মারুফকে কুমিল্লা কালেক্টরেট স্কুলের এক শিক্ষার্থীর ছুরিকাঘাতে আহত করে। পরে তাকে আশঙ্কাজনকভাবে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় সহপাঠীরা। গত ২০১৮ সালের ১১ জুলাই কিশোর প্রেমসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে নগরীর ধর্মসাগরপাড়ে সহপাঠীদের হাতে খুন হয় অজিতগুহ কলেজের শিক্ষার্থী অন্তু (১৮)।

কিশোর অপরাধের প্রসঙ্গে কুমিল্লা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন জানান, কিশোর অপরাধ বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। এ বিষয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভা সেমিনার করে যাচ্ছে কুমিল্লা জেলা পুলিশ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close