নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জে অষ্টম শ্রেণির মাদরাসাছাত্র মাহিম (১৪) মৃত্যু নিয়ে ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। ছাত্রের পরিবারের দাবি, পরকীয়ার জেরে মাদরাসা শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখে ঘাতরা। তবে পুলিশ বলছে, শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। পরিবারের অভিযোগের ভিক্তিতে পুলিশ হাবিবুর, শাহানাজ ও সাব্বির হোসেনকে আটক করেছে।

গতকাল রাতে উপজেলার কাজিরবাগ এলাকায় এ মৃত্যু ঘটনা ঘটে হয়েছে। মাহিম কাজিরবাগ এলাকার পাটকল শ্রমিক মন্নান মিয়ার ছেলে।

স্কুলছাত্রের বোন নাসিমা জানান, গত এক বছর আগে পার্শ্ববর্তী রাজমিস্ত্রি হাবিবুর রহমানের স্ত্রী শাহনাজের সঙ্গে মাহিমের বড় ভাই কামাল হোসেনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরিবারিক দীনতার কারণে শাহনাজ গোপনে পার্শ্ববর্তী আরেক যুবক সাব্বিরের সঙ্গে সম্পর্ক রাখে। এ ঘটনায় গত আট মাস আগে কামালের সঙ্গে সম্পর্কের খবরে ক্ষুব্ধ সাব্বির দলবল নিয়ে কামালের বাড়িতে হামলা চালায়। এরপর থেকে কামাল এলাকা ছেড়ে চলে যায়। তিনি আরো জানান, তার ভাইয়ের সঙ্গে শাহনাজের যোগাযোগ করিয়ে দিতো তার ছোট ভাই মাহিম। গতকাল বিকালে মাহিম মোবাইল নিয়ে বের হলে সাব্বিরের সামনে পড়ে। পরে সন্দেহ হলে তাকে নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করে। একপর্যায়ে বেধড়ক পেটায় এবং মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

মাহিমের মা বেবী আক্তার বলেন, আমি রাতে কাজ থেকে ফিরে ঘরের দরজার বাইরে দিয়ে সিকল আটকানো ছিল। খুলে ভেতরে গিয়ে মাহিমের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পাই। তিনি দাবী করেন, সাব্বির তার ছেলেকে মেরে ফেলেছে।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল হক বলেন, প্রাথমিক ধারণায় বুঝা যাচ্ছে এটা আত্মহত্যা। তবে পরিবারের দাবী হত্যা করা হয়েছে। তাদের অভিযোগের ভিক্তিতেই তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের কোর্টে প্রেরণ করা হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই নিশ্চিত হওয়া যাবে এটা হত্যা না আত্মহত্যা।

"