খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

  ০৮ জুলাই, ২০১৮

২ মাসেই গাইডওয়ালে ফাটল ঠিকাদারির হাত বদলের অভিযোগ

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙায় গোমতি সড়কে সরকারি কাজের অনিয়ম

নির্মাণের দুই মাসের মধ্যেই ফাটল দেখা দিয়েছে খাগড়াছড়ি সদরে মাটিরাঙা গোমতি সড়কের গাইডওয়ালে। ফলে সড়ক রক্ষা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রায় ১৪৩ ফুট দীর্ঘ গাইডওয়াল নির্মাণে সরকারের খরচ হয়েছে ১৮ লাখ টাকা। নির্মাণের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে স্থানীয়দের মধ্যে। এ ছাড়া ঠিকাদারি কাজের হাত বদলে ঘটনায় এই ফাটল দেখা দিয়েছে বলে তাদের অভিযোগ। পার্বত্য অঞ্চলের পাহাড়ি জনপদে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো রাখতে বিভিন্ন এলাকায় নির্মাণ করা হচ্ছে সড়কের গাইডওয়াল ও রিটেইনিং ওয়াল (ধারক দেয়াল)। সড়কে ভাঙন দেখা দেওয়ায় খাগড়াছড়ি সদরে মাটিরাঙা গোমতি সড়কে খেদাছড়া গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় নির্মাণ করা হয়ে ছিল এই গাইডওয়াল। বর্ষার শুরুতেই এমন ফাটল দেখা দেওয়ায় ভরা বর্ষায় সড়কের লাগায়ো পাহাড়ে মাটি ধসে গাইডওয়াল ধসে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সড়কের ভাঙন কবলিত অংশ রক্ষার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে এই দেয়াল। কিন্তু তাতে ফাটল দেখা দেওয়ায় দেয়াল ধসে পড়ার পাশাপাশি পুরো সড়কটি পার্শ্ববর্তী ঝিরিতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের ভাঙন ঠেকাতে দুই অংশে ১৪৩ ফুট দীর্ঘ দুটি গাইডওয়াল নির্মাণ করা হয়। এর মধ্যে একটি দেয়ালের দুই জায়গায় ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় ১২ ফুট উচ্চতার দেয়ালটির একটি অংশের ওপর থেকে নিচ অব্দি ফাটল দেখা যায়। ফলে ভারি বর্ষণে দেয়ালটি ভেঙে পড়ার শঙ্কা করছে এলাকাবাসী। স্থানীয়রা জানান, মাটিরাঙা গোমতি সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘদিন পর সড়কটি রক্ষায় গাইডওয়াল নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। কিন্তু নির্মাণের কয়েকদিনের মধ্যেই ফাটল দেখা দিয়েছে। দেয়ালে ফাটল হওয়ার জন্য ঠিকাদারকে দায়ী করে তারা জানান, ‘সরকার তো টাকা দিয়েছে কিন্তু ঠিকাদার ঠিকমতো কাজ শেষ করেনি। ঠিকাদার নির্মাণ কাজে গুণগত মান রক্ষা না করার কারণে নির্মাণের দুই মাসের মাথায় ফাটল দেখা দিয়েছে।’ সংশ্লিষ্ট অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) আওতায় গোমতি সড়ক রক্ষায় ১৮ লাখ টাকায় রিটেনিং ?ওয়াল নির্মাণ করা হয়। দরপত্র আহ্বান মাধ্যমে রিটেনিং ওয়াল নির্মাণের কাজ পায় ঠিকাদার এস অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা। তবে তার কাছ থেকে পরে বটন দেবনাথ নামে অন্য এক ঠিকাদার কাজটি কিনে নেয়। তিনিই রিটেইনিং ওয়ালের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে। এস অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরার লাইন্সেসে গাইডওয়াল নির্মাণের কাজটি করেছে জানিয়ে ঠিকাদার বটন দেবনাথ বলেন, কাজ শেষ করে বুঝিয়ে দিয়েছি। ভেঙে গেলে আমি কি করতাম? যারা বুঝে নিয়েছে তাদের ধরেন, আমার কিছু করার নেই। তবে ওয়াল নির্মাণের পর মাটি দেওয়ার সময় দুটি জায়গায় ফাটলের মতো দেখা গেলেও, তা ফাটল স্বীকার না করে ওয়ালের প্রতি ১৫ ফুট পর জয়েন্ট বলে জানান তিনি। এলজিইডি মাটিরাঙা উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল হক বলেন, ঠিকাদারকে এখনো ফাইনাল বিল দেওয়া হয়নি। তার টাকা জমা আছে ‘নির্মাণ কাজে ঠিকাদারের কোনো গাফিলতি থাকলে সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist