সয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি
শতবর্ষী গাছের নিচে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস
প্রায় দুইশ বছর বয়সের ঝুঁকিপূর্ণ গাছের নিচে বসবাস করছেন সৈয়দপুর শহরের প্রায় দুইশ পরিবার। দেশ স্বাধীনের পর থেকে বসবাসরত পরিবারের লোকজন ওই গাছ ভেঙে পড়ে হতাহত হওয়ার আশংকায় আছেন। এ নিয়ে রেল ও পৌর কর্তৃপক্ষকে অবগত করেও সুফল মিলছে না বলে অভিযোগ তাদের।
রহিম সাহেব নামের এক ব্যক্তি বলেন, দেশ স্বাধীনের পর শহরের পুরাতন বাবুপাড়ার এক রেইন ট্রি গাছের নিচের রেলের কিছু পতিত জমি তিনি পজিশন ক্রয় করে বাড়ি নির্মাণ করেন। শুরুর দিকে গাছটির ডালপালা চিকন থাকায় তেমন একটা ভয় লাগেনি। কিন্তু বর্তমানে ওই গাছের প্রায় সব ডালই মোটা হয়ে গেছে। ঝঢ়ে গাছটির ডাল ভেঙে পড়ে ঘরবাড়ি নষ্টসহ হতাহতের ভয়ে দিন-রাত বাড়ির বাহিরে কাটাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, সৈয়দপুর শহরের পাড়া মহল্লায় এখন প্রায় দুই শতাধিক বছরের পুরাতন গাছ রয়েছে রেল কর্তৃপক্ষের। এসব গাছের নিচে ২ শতাধিক পরিবার বসবাস করছেন তারা ঝুঁকি নিয়ে। ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলো কেটে ফেলার অনুরোধ জানান তিনি।
সৈয়দপুর রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা ছাড়া কিছুই করার নেই। নির্দেশনার আগে যদি গাছ ভেঙে ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যায় তাহলে এর দায়ভার অবৈধ বসাবাসকারীদের নিতে হবে।
সৈয়দপুর পৌর মেয়র আমজাদ হোসেন সরকার বলেন, সৈয়দপুর শহরকে ঢেলে সাজানোর ইচ্ছা তার আছে। কিন্তু রেল কর্তৃপক্ষের কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। সাধারণ মানুষের জানমাল রক্ষায় ঝুঁকিপূর্ণ ওই সব গাছ কাটার অনুরোধ জানানো হয়েছে দীর্ঘদিন আগে। কিন্তু ওই অনুরোধের তোয়াক্কাই করছেন না রেল কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে রেলওয়ের বিভাগীয় তত্ত¡াবধায়ক কুদরত খোদা প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ওই সব গাছগুলোর ব্যাপারে মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। এখনও অনুমতি পাওয়া যায়নি।
"