গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের জায়গা পেয়েছে ‘ঢাকা পরিচ্ছন্ন অভিযান’। আর এই অভিযানের স্বীকৃতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে উৎসর্গ করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।

গতকাল মঙ্গলবার নগর ভবনে ব্যাংক ফ্লোর সেমিনার কক্ষে গিনেসের স্বীকৃতি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর নামে উৎসর্গের এ ঘোষণা দেন সাঈদ খোকন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) আয়োজিত ‘ডেটল পরিচ্ছন্ন ঢাকা’ কর্মসূচি দিয়ে নতুন রেকর্ড গড়ে ডিএসসিসি। সর্বাধিকসংখ্যক মানুষ একই জায়গায় ঝাড়– দেওয়ার এ রেকর্ডটি আগে ভারতের আহমেদাবাদের শহরের দখলে ছিল ৫ হাজার ৫৮ জন। ওই রেকর্ড ভেঙে বর্তমানে ‘গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডে’ বাংলাদেশ নতুন রেকর্ডের অধিকারী ৭ হাজার ২১ জন।

মেয়র বলেন, পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে এ রেকর্ড করাই আমাদের উদ্দেশ্য ছিল না। আমরা চেয়েছি, এমন কর্মসূচির মাধ্যমে শহরবাসী পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে যেন সচেতন হয়। আর এ রেকর্ডের মাধ্যমে বিশ্ববাসী জেনেছে, এ দেশের মানুষ পরিচ্ছন্নতায় সচেতন জাতি। আমাদের এই অর্জন, সেই নেতার নামে উৎসর্গ করতে চাই, যে নেতার জন্ম না হলে আমরা এই দেশ, এই স্বাধীনতা পেতাম না।

তিনি বলেন, এই রেকর্ড গড়ার সম্মানে আমাদের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম আরো ব্যাপকভাবে অব্যাহত থাকবে। এই সম্মান তখনই অর্থবহ-কার্যকর হবে, যখন এই শহরবাসীকে পরিপূর্ণ একটি পরিচ্ছন্ন শহর উপহার দিতে পারব। শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে শুধু একজন মেয়রের পক্ষ এই বিশাল কার্যক্রম পরিচালনা সম্ভব নয়। এ জন্য প্রতিটি নাগরিককে মেয়রের ভূমিকায় থাকতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন জিটিভির চেয়ারম্যান গাজী দস্তগীর এমপি, ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহম্মাদ বিলাল, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর মো. জাহিদ হোসেন, সচিব শাহাবুদ্দিন খান, রেকিট বেনকিজারের মার্কেটিং ডিরেক্টর সৈয়দ তানজিম রেজওয়ান প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত ১৩ এপ্রিল প্রতীকী পরিচ্ছন্নতায় গিনেস বুকে থাকা আগের রেকর্ডের লোকসংখ্যার থেকে অনেক বেশি লোক অংশগ্রহণ করে ডেটল পরিচ্ছন্ন ঢাকা কর্মসূচিতে। ডিএসসিসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্বচ্ছ ঢাকা গড়তে নগরবাসীকে সচেতন করতে প্রতীকী এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে পুরো নগরী পরিচ্ছন্ন না হলেও পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি এ শহরের নাম গিনেস ওয়ার্ল্ড বুকে লেখা থাকবে। কর্মসূচিতে জাতীয় স্কাউট, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি), ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি), ফায়ার সার্ভিস, নৃত্যশিল্পী, চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, অভিনেতা, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ১৫ হাজারের বেশি মানুষ অংশগ্রহণ করলেও চূড়ান্ত নিরীক্ষায় ও নিরপেক্ষ অডিট রিপোর্ট মোতাবেক ৭ হাজার ২১ জন ওই নির্দিষ্ট এক মিনিট সক্রিয়ভাবে গিনেসের সব নীতিমালা পূরণ করে রেকর্ডে অংশগ্রহণ করেছিলেন, যা পরে যাচাইয়ের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়।

"