মো. শাহ আলম, খুলনা

  ২৭ মে, ২০২৩

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন

ভোটের মাঠ কাঁপাচ্ছেন ১৭৯ প্রার্থী

আগামী ১২ জুন খুলনা সিটি কপোরেশনের নির্বাচন। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন চার মেয়র প্রার্থীসহ ১৭৯ জন। শুক্রবার (২৬ মে) প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়। এর পরই তারা শুরু করেছেন নির্বাচনি প্রচার।

এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক, ইসলামী আন্দোলন মনোনীত প্রার্থী মো. আবদুল আউয়াল, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী এসএম শফিকুল ইসলাম মধু ও জাকের পার্টি মনোনীত প্রার্থী এসএম সাব্বির হোসেন। এছাড়া সাধারণ ৩১টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৩৬ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন প্রার্থী রয়েছেন।

এর আগে শুক্রবার রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে চার মেয়রপ্রার্থী ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের হাতে প্রতীক তুলে দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন। নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেককে নৌকা, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মো. আবদুল আউয়ালকে হাতপাখা, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী এসএম শফিকুল ইসলাম মধুকে লাঙ্গল ও জাকের পার্টি মনোনীত প্রার্থী এসএম সাব্বির হোসেনকে গোলাপ ফুল প্রতীক তুলে দেওয়া হয়।

রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন বলেন, আমরা একটা উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন করতে চাই। সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশ তৈরির পূর্বশর্ত আচরণবিধি প্রতিপালন। সবাইকে আচরণবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানান তিনি।

জানা গেছে, কেসিসি নির্বাচনে ২৮৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৬১ কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করেছে পুলিশ। আর ১২৮টি সাধারণ কেন্দ্র। সাধারণ কেন্দ্রের তুলনায় ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে বাড়তি নিরাপত্তা থাকবে। ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করবে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার পুলিশ ও আনসার। নির্বাচনের কাজে তিন হাজার ৫৬৭ পুলিশ, ৩০০ আর্মড পুলিশ ও চার হাজার ৬৫৭ আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এরই মধ্যে নগরীতে ১৬টি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। কেএমপি সদর দপ্তরে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হচ্ছে। এছাড়া বিজিবি ও র‌্যাব সদস্যরা নির্বাচনের দিন দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচন উপলক্ষে ১০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা ১০ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন।

কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন বলেন, শুক্রবার (২৬ মে) মেয়র প্রার্থী, সংরক্ষিত কাউন্সিলর ও সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। এখন ১৭৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন। এবার ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে ২৮৯টি কেন্দ্র ও এক হাজার ৭৩২টি ভোটকক্ষের সামনে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। নির্বাচন কমিশন এগুলো সার্বক্ষণিক মনিটর করবে।

এবারের সিটি নির্বাচনে ৩১টি ওয়ার্ডে ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রে পাঁচ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close