বিডার সম্মেলন কক্ষে বুধবার (১৫ মার্চ) লাতিন আমেরিকাণ্ডবাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এলএবিসিসিআই) ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, ‘বিডা এবং এলএবিসিসিআইয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও লাটিন আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের নতুন দ্বার উন্মোচিত হলো’। এর মাধ্যামে  বাংলাদেশের সঙ্গে লাটিন আমেরিকাভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পাবে। 

বিডা সম্মেলন কক্ষে এমওইউ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মো. মতিউর রহমান, নির্বাহী সদস্য (অতিরিক্ত সচিব), মার্কেটিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন, অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো. আনোয়ার শওকাত আফসার, সভাপতি, এলএবিসিসিআই ও নাহিদ ফেরদৌসী, কমার্শিয়াল স্পেশালিস্ট, ব্রাজিল অ্যাম্বাসি, বাংলাদেশ। 

অনুষ্ঠানে এলএবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. আনোয়ার শওকাত আফসার বলেন, সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। এলএবিসিসিআই এখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বিডা (ইওউঅ) থেকে অধিভুক্তি পেয়েছে। এখন লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর ব্যবসায়ী  সমাজ এলএবিসিসিআইয়ের সহযোগিতায় বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে আরো আত্মবিশ্বাসী হবে।  এ সময়ে তিনি আগামী ৬-১৭ মে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট বিটুবি (বিজনেস টু বিজনেস) ইভেন্ট ইন লাতিন আমেরিকাণ্ড২০২৩ পরিকল্পনা ধরেন।  যা যৌথভাবে বিডা, ডিবিসিসিআই এবং এলএবিসিসিআই নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিলে আয়োজন করবে। এই মেগা ইভেন্টে অংশ নেবেন বাংলাদেশি ও ইউরোপিয়ান বিশিষ্ট ব্যবসায়ীরা। নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলে প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ ব উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, এমপি। প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের সম্ভাব্য খাতে ঋউও আকর্ষণ, লাতিন আমেরিকায় বাংলাদেশি পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ, কৃষি, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, টেক্সটাইল, সয়াবিন, সূর্যমুখী, লৌহ আকরিক, পেট্রোলিয়াম তেল, সার, আরএমজি, কাঠের লগ, পাট, চামড়া ও ওষুধ রপ্তানি ইত্যাদির মতো সেক্টরগুলোর ওপর ই২ই নেটওয়াকিং ও সেমিনার আয়োজন করবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া এই প্রতিনিধিদলকে সার্বিক  সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী দক্ষ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি নিরাপদ বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। গত ১৫ বছরে আমাদের অর্থনীতির বিস্ময়কর পরিবর্তন ঘটেছে, মানুষের আয় বৃদ্ধি ও জীবনযাপন উন্নত হয়েছে। আগামী ২০২৭ সালের মধ্যে আরো ৩.৫ কোটি মানুষে মধ্যবিত্তের কাতারে চলে আসবে। বাংলাদেশ শুধু ১৭ কোটি মানুষের বিশাল ডোমেস্টিক মার্কেট-ই নয় বরং যথাযথ বিনিয়োগ করলে এখান থেকেই ভারত, চীনসহ দক্ষিণ এশিয়ার  প্রায় ৩০০ কোটির কনজ্যুমার মার্কেটে প্রবেশ করা যাবে। সেই সঙ্গে আমাদের রয়েছে দক্ষ তরুণ জনগোষ্ঠী যা বিনিয়োগকারীদের সহজেই আকর্ষণ করতে পারে। ১০০টি ইকোনমিক জোন, ২৮টি হাইটেক পার্ক এবং বিশ্বের ২য় শীর্ষ ফ্রিল্যান্সার দেশ বাংলাদেশ, তাই বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ নিরাপদ বিনিয়োগের গন্তব্য। এ সময়ে তিনি এলএবিসিসিআই নেতাদের লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের পাশাপাশি ইউরোপ থেকে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার উদ্যোগের জন্য প্রশংসা করেন। অনুষ্ঠানে বিডা এবং এলএবিসিসিআই শীর্ষ কর্মকর্তারাসহ, সংশ্লিষ্ট দপ্তর এবং  প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

"