ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ১৭ মার্চ, ২০২৪

তবু আক্ষেপ নেই হৃদয়ের

লাহিরু কুমারার ইনিংসের শেষ দুই বলে দুই ছক্কা মেরে তাওহীদ হৃদয় পৌঁছান ৯৬ রানে। মাঠ ছাড়ার সময় মাথা ওপরে দিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখাতে দেখা যায় তাকে। তবে সেঞ্চুরি না পাওয়ায় ম্যাচ শেষে কোনো আক্ষেপ নেই বলে জানালেন ডানহাতি এ ব্যাটার। শুক্রবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বড় রান করেও হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্তর পর বাংলাদেশকে টেনে তিনশোর কাছে নিয়েছিলেন হৃদয়। ১০২ বলে খেলে ৯৬ রানের ইনিংস। তাতে পাওয়া ২৮৬ রানের পুঁজি পাথুম নিসাঙ্কা আর চারিথা আসালাঙ্কার ঝলকে পেরিয়ে যায় সফরকারীরা।

হৃদয় এদিন ৫০ করেছিলেন ৭৪ বলে। পরের ৪৬ রান নেন স্রেফ ২৮ বলে। শেষ ওভারে লাহিরু কুমারাকে দুই ছক্কা মারলেও তার আগে স্কুপ শটের চেষ্টায় ব্যাটে পাননি। ভানিন্দু

হাসারাঙ্গার ৪৮তম ওভারেও দুই ছক্কা পাওয়ার পর তিনটা বল মারতে গিয়ে ব্যাটে সংযোগ হয়নি। আর একটা শট লাগলেও সেঞ্চুরি হতে পারত।

ওয়াডেতে ৭ বার ফিফটি পেরিয়েছেন। নব্বই পেরুলেন এ নিয়ে দ্বিতীয়বার। কাছে গিয়েও তিন অঙ্ক স্পর্শ হয়নি। হৃদয়ের অবশ্য তা নিয়ে কোনো আক্ষেপ নেই, ‘আমার কোনো আক্ষেপ নেই, যেটা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। হ্যাঁ বলতে পারে হয়ত ৯৬, আরেকটা বল থাকলে হয়ত অনেকেই অনেক কিছু বলতে পারে। আমি তো প্রথম বলেও আউট হয়ে যেতে পারতাম। আগের ম্যাচে রান করতে পারিনি। টি-টোয়েন্টিতেও দ্রুত আউট হয়ে গেছি। আমার প্ল্যান থাকে যদি শুরু পেয়ে যাই যেন বড় করতে পারি।’ এদিন ১৮৯ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর টেল এন্ডারদের নিয়ে আরো ৯৭ রান যোগ করেন হৃদয়। তানজিম হাসান সাকিবের সঙ্গে ৪৭ এবং তাসকিন আহমেদের সঙ্গে ২৩ বলে যোগ করেন ৫০ রান। সতীর্থদের ওপর আস্থা থাকাতেই জুটি করতে পেরেছেন তিনি, বলেন ‘আমি যখন ব্যাটিং করছিলাম তখন আমার মাথায় ছিল মিরাজের পরেও (তানজিম) সাকিবও ভালো ব্যাটিং করে, তাসকিন ভালো ব্যাটিং করে। এমনকি তাইজুল ভাই, শরিফুল এরাও ভালো ব্যাটিং করে। আমার ওদের ওপর আত্মবিশ্বাস ছিল যে ওরা শেষ পর্যন্ত যারা আছে তাদের নিয়েই আমি খেলব। দলের জন্য যতটুকু ক্যারি করতে পারি।’

যদিও বাংলাদেশের ইনিংসের ভিত গড়ে দিয়েছেন সৌম্য সরকার। লিটন দাস শূন্য রানে ফিরে গেলেও ৬৬ বলে ৬৮ রান করে আউট হয়েছেন সৌম্য। নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে তার ৭৫ রানের জুটি আর হৃদয়ের সঙ্গে সৌম্যের ৫৫ রানের জুটি বাংলাদেশের ইনিংসের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। হৃদয় মনে করেন সৌম্যের ইনিংসটি আরেকটু বড় হলে বাংলাদেশের জন্য ম্যাচটা অন্যরকম হয়ে যেত। এ ছাড়া শ্রীলঙ্কার হয়ে পাথুম নিশাঙ্কা ও চারিথ আসালাঙ্কা মিলে ১৮৫ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ কেড়ে নিয়ে গেছেন বাংলাদেশের কাছ থেকে। এটাকেও ম্যাচ হারের অন্যতম কারণ মনে করেন হৃদয়।

তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, ওরা অনেক ভালো জুটি গড়েছে। কৃতিত্ব ওদেরও দিতে হবে। যারা আমরা সেট হয়েছি যদি ইনিংসটা আরো ক্যারি করতে পারতাম। ওপর থেকে যদি সৌম্য ভাই বা আমি যদি আরো বড় করতে পারতাম। আমি সৌম্য ভাইকে বারবার বলছিলাম যে আজকে খেলতে হবে। সৌম্য ভাইয়ের ইনিংসটা যদি আরো বড় হত বা শান্ত ভাইয়ের ইনিংসটা যদি আরো বড় হত তাহলে খেলার দৃশ্যটা হয়ত ভিন্ন হত।’ হৃদয় লোয়ার অর্ডার ব্যাটারদের নিয়ে এ ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং করেছেন। সপ্তম উইকেটে তানজিম সাকিবকে নিয়ে ৪৭ ও অষ্টম উইকেটে তাসকিনকে নিয়ে ৫০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছেন হৃদয়। তার বিশ্বাস ছিল শেষের ব্যাটারদের নিয়েও বাংলাদেশকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিতে পারবেন। সেটাই করতে পেরেছেন।

ইতিবাচক ভাবনা নিয়ে হৃদয় আরো বলেন, ‘দেখেন শেষ দিকে যারা আসে ব্যাটিংয়ে তাদের রান অনেক ইমপ্যাক্টফুল। তাসকিন ভাইয়ের রান, সাকিবের রান। দুজনের সঙ্গেই ভালো জুটি হয়েছে। দলকে অনেক সাহস দেয় এ রানগুলো। সবসময় এটা দলের জন্য ভালো দিক।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close