নটিংহাম ফরেস্টকে ২-১ গোলে হারিয়ে প্রিমিয়ার লিগ টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে আর্সেনাল। দিনের আরেক ম্যাচে নিউক্যাসলের কাছে ৩-১ গোলে পরাজিত হয়ে ঘরের মাঠে অ্যাস্টন ভিলার অপরাজিত থাকার ধারা শেষ হয়েছে। গাব্রিয়েল জেসুস ও বুকায়ো সাকার গোলে সিটি গ্রাউন্ডে আর্সেনালের জয় নিশ্চিত হয়। আগামী রবিবার অ্যামিরেটস স্টেডিয়ামে টেবিল টপার লিভারপুলকে আতিথ্য দেওয়ার আগে এই জয় জরুরি ছিল আর্সেনালের জন্য। ডিসেম্বরের পর এটি আর্সেনালের প্রথম অ্যাওয়ে ম্যাচে জয়। লিভারপুলের থেকে এই মুহূর্তে মিকেল আর্তেতার দল দুই পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছে। ৬৫ মিনিটে জেসুসের গোলের আগপর্যন্ত আর্সেনাল পজিশন দখলে হিমশিম খাচ্ছিল। সাবেক আর্সেনাল গোলরক্ষক মার্ক টার্নারকে পরাস্ত করতে শুরু থেকেই সমস্যায় পড়েছিল আর্তেতার শিষ্যরা। জেসুসের ক্রস থেকে মৌসুমের ১০ম গোল করে ৭২ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে সাকা। আর্তেতা ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘এই দলের বিপক্ষে ঘরের মাঠে অনেক দলই কঠিন পরীক্ষার মধ্যে পড়েছে। আজকের এই পারফরমেন্সে আমি দারুণ সন্তুষ্ট। বিশেষ করে ম্যাচে জয়ী হতে পারাই মূল স্বস্তির জায়গা।’

বদলি খেলোয়াড় টাইয়া আয়োনিয়ি ৮৯ মিনিটে ফরেস্টের হয়ে এক গোল পরিশোধ করেন। কিন্তু সেই গোল শেষ পর্যন্ত সান্ত¡নার গোল হয়েই থেকেছে। এই পরাজয়ে নটিংহাম ফরেস্ট টেবিলের ১৬তম স্থানে নেমে গেছে। রেলিগেশন জোন থেকে তারা মাত্র দুই পয়েন্ট ওপরে রয়েছে। প্রিমিয়ার লিগের আর্থিক আইন ভঙ্গের কারণে তাদের ওপর পয়েন্ট কর্তনের শঙ্কা ঝুলছে। গত বছর ফেব্রুয়ারির পর প্রথমবারের মতো ঘরের মাঠে পরাজিত হয়ে আর্সেনালের সঙ্গে সমান ৪৬ পয়েন্ট স্পর্শ করতে ব্যর্থ হয়েছে ভিলা। সিটির সঙ্গে সমান ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে ভিলা চতুর্থ স্থানে রয়েছে। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারির পর উনাই অ্যামেরির দল ভিলা পার্কে ১৭ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ১৬টিতেই জয়ী হয়েছে। নিউক্যাসল সেন্টার-ব্যাক ফাভিয়ান শার কর্নার থেকে প্রথমার্ধে জোড়া গোল করেন। ৩৬ মিনিটে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি ভিলা। অথচ ম্যাচ শুরুর আগে প্রিমিয়ার লিগে অ্যাওয়ে ম্যাচে সবচেয়ে বাজে রেকর্ডের তালিকায় নিউক্যাসল ছিল দ্বিতীয় স্থানে। ৫২ মিনিটে জ্যাকব মারফির শট থেকে অ্যালেক্স মোরেনো নিজের জালে বল জড়ালে ৩-০ গোলের লিড পায় নিউক্যাসল। সঙ্গে ভিলা আত্মঘাতী গোলের লজ্জায় ডুবে। সেপ্টেম্বরের পর এটাই নিউক্যাসলের লিগে প্রথম জয়। নিউক্যাসল বস এডি হাউ বলেছেন, ‘এটা আমার জন্য একটি মিশ্র অনুভূতি। কারণ ভিলা বেশ ঐতিহ্যবাহী ক্লাব। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমরা কখনো ভিলাকে ম্যাচ ছেড়ে দিতে দেখিনি। আমাদের বেশ কিছু খেলোয়াড় ইনজুরিতে রয়েছে, তারপরও নিজেদের সাধ্যমতো খেলার চেষ্টা করেছি।’

"