ক্রীড়া ডেস্ক

  ২৬ জানুয়ারি, ২০২৪

বার্সার হারের পরও গর্বিত জাভি

ট্রফির লড়াই থমকে গেছে কোয়ার্টার ফাইনালেই। হারতে হয়েছে পরিষ্কার ব্যবধানে। সেই হারের হতাশা তো আছেই। পাশাপাশি গর্বও আছে জাভি হার্নান্দেসের। দল যেভাবে লড়াই করেছে, বিশেষ করে তরুণ ফুটবলাররা, তাতে তৃপ্তির উপকরণই খুঁজে পাচ্ছেন বার্সেলোনা কোচ। এমনকি এ মুহূর্তে ধুঁকতে থাকা বার্সেলোনার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল বলেও মনে করেন ক্লাবের এই কিংবদন্তি। কোপা দেল রের আগের রাউন্ডে তৃতীয় স্তরের দলের সঙ্গে কোনোরকমে জিতলেও কোয়ার্টার ফাইনালে পেরে ওঠেনি বার্সেলোনা। অ্যাটলেটিক বিলবাওয়ের কাছে হেরে গেছে তারা ৪-২ গোলে।

ম্যাচের প্রথম মিনিটেই গোল হজম করা বার্সেলোনা ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রথমার্ধেই এগিয়ে যায় ২-১ গোলে। কিন্তু এরপর বিলবাওয়ের পাল্টা আঘাতের পালা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে সমতায় ফেরে তারা। পরে অতিরিক্ত সময়ে আরো দুই গোল করে তারা ছিটকে দেয় বার্সেলোনাকে। স্পেনের ও বিশ্ব ফুটবলের বড় এক ক্লাব হিসেবে বার্সেলোনার জন্য কোয়ার্টার ফাইনালেই থেমে যাওয়া হতাশাজনক বটে। তবে জাভির মতে, ক্লাব বড় হলেও তার স্কোয়াড ছোট ও ফুটবলারদের অনেকেই অনভিজ্ঞ। এজন্যই তিনি এই ব্যর্থতাকে পাশ কাটিয়ে তাকিয়ে আছেন সম্ভাবনাময় আগামীর দিকে। সব বড় ক্লাবেই কোচদের তাকিয়ে থাকতে হয় ট্রফির দিকে। তবে দুর্দান্ত একটি দলের বিপক্ষে আমরা আজকে যেভাবে লড়াই করেছি, বিশেষ করে তরুণরা, তাতে আমি গর্বিত।

বাচ্চাদের নিয়ে খেলছি আমরা। স্কোয়াডের আকারও ছোট। যখন আমি বলি যে, এখনো আমরা গুছিয়ে নেওয়ার পর্যায়ে আছি, তখন এটিই বোঝাচ্ছি। তবে আমার মনে হয়, বড় কিছুর পথে সূচনা চলছে এখন। আমি এখানে থাকি আর না থাকি, বার্সার ভবিষ্যৎ দারুণ উজ্জ্বল। বেশ কয়েকজন তরুণ ফুটবলারের নাম আলাদা করেই বললেন জাভি। কোচের মতে, এই প্রতিভাবান প্রজন্মের হাত ধরেই আবার গৌরবময় সময় ফিরবে বার্সেলোনা। ক্লাবের পরিকল্পনা দারুণ। সেটা আমি কোচ বলেই নয়। দারুণ এক প্রজন্মের ফুটবলার উঠে আসছে। (পাউ) কুবারসি, (এক্তর) ফর্ত, লামিন (ইয়ামাল), (মার্ক) গিইউ এবং আরো অনেক ফুটবলার। আমার মনে হয়, বড় কিছুর শুরুর পর্ব চলছে। তবে আমাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে এবং জিততে হবে। বার্সেলোনার মতো ক্লাবে জয়ই সবকিছু। সেই তরুণদের একজন, এর মধ্যেই দারুণভাবে নজর কাড়া লামিন ইয়ামাল এ ম্যাচেও অসাধারণ এক গোল করেছেন। তবে নির্ধারিত সময়ের শেষদিকে একটি সুযোগ হাতছাড়াও করেছেন তিনি। তবে এই কিশোরকে কাঠগড়ায় তুলতে চান না বার্সেলোনা কোচ। ২-২ সমতায় থাকার পর সুযোগগুলো কাজে লাগাতে না পারা হতাশার। তবে বাচ্চা ছেলেটাকে দোষ দেওয়ার কিছু নেই। স্রেফ ১৬ বছর বয়সি বাচ্চা, যে অসাধারণ খেলছে। সুযোগ তৈরিও করেছে তো সে নিজেই। কোয়ার্টার ফাইনালে বিলবাওয়ের মাঠে খেলতে হওয়ায় নিজেদের ভাগ্যকেও দায় দিচ্ছেন জাভি। প্রতিপক্ষকেও অবশ্য কৃতিত্ব দিচ্ছেন জাভি- আমরা লড়াই করেছি। কঠিন লড়াই করেছি এবং সবটুকু উজাড় করে দিয়েছি। খুব ভালো একটি দল, ঘরের মাঠে যারা শক্তিশালী, তাদের বিপক্ষে আমরা লড়াই করেছি। ড্রয়ের সময়ই বলেছিলাম, আমাদের ভাগ্য খারাপ। তবে তারা খুব ভালো খেলেছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close