ক্রীড়া ডেস্ক

  ২৫ নভেম্বর, ২০২২

হারলেও যোগ্যতা দেখিয়েছে কানাডা

ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ের দুই নম্বর দল বেলজিয়ামকে যেভাবে চেপে ধরেছিল কানাডা, তা পারবে বিশ্বের খুব কম দলই। এই পারফরম্যান্সে মনে হয়নি, তিন যুগ পর বিশ্বকাপে খেলছে কানকাকাফ অঞ্চলের দেশটি। মনে হচ্ছিল বিশ্ব মঞ্চের নিয়মিত কোনো দল বুঝি। এমন খেলার পরও জিততে না পারার হতাশা আছে কোচ জন হার্ডম্যানের, তবে নিজেদের সামর্থ্য, যোগ্যতা দেখানোর তৃপ্তিও আছে সেখানে।

‘এফ’ গ্রুপের ম্যাচে গত বুধবার নিজেদের প্রথম ম্যাচে ১-০ গোলে হেরেছে কানাডা। আলফুঁস ডেভিস যদি স্পট-কিক মিস না করতেন তাহলে হয়তো ভিন্ন রকম হতে পারত ম্যাচের ফল। হয়তো জয় দিয়েই বিশ্ব মঞ্চে ফেরা রাঙাতে পারত ১৯৮৬ সালে প্রথম ও সবশেষ বিশ্বকাপ খেলা দলটি।

কনকাকাফ অঞ্চল থেকে সবার আগে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করে কানাডা। মূল আসরের শুরুটাও তাদের হলো বেশ ভালো। যদিও হেরেছে, তবে দাপুটে ফুটবলে নজর কেড়েছে তারা। ম্যাচ শেষে দলের পারফরম্যান্সে মুগ্ধতার কথা বললেন কোচ হার্ডম্যান। ‘কানাডা দেখিয়েছে, বিশ্বকাপে খেলার যোগ্য তারা। দীর্ঘ একটা সময় পর আমরা বিশ্ব মঞ্চে ফিরেছি।

এমন পারফরম্যান্সের পর আমি খেলোয়াড়দের বলেছি, আমাদের স্রেফ পরবর্তী কাজ শুরু করে দিতে হবে। তারা যা করেছে, আমি গর্বিত। প্রমাণ করেছে, এখানে (বিশ্বকাপে) তারা খেলতে পারে।’ ২০১৮ বিশ্বকাপে তৃতীয় হওয়া বেলজিয়ামের বিপক্ষে দশম মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পায় কানাডা। কিন্তু পেনাল্টিতে দলের তারকা ডেভিস নেন দুর্বল শট, যা সহজেই ঠেকিয়ে দেন থিবো কোর্তোয়া।

ম্যাচের ৪৪ মিনিটে এগিয়ে মিচি বাতসুয়াই এগিয়ে নেন বেলজিয়ামকে। এরপর প্রাণান্ত চেষ্টা করেও পরাজয় ঠেকাতে পারেনি কানাডা। কতটা আধিপত্য দেখিয়েছে তারা, একটি পরিসংখ্যানেই তা স্পষ্ট। ম্যাচে গোলের উদ্দেশে ১২টি শট নিয়েছে কানাডা। আর বেলজিয়াম স্রেফ ৯টি। এই হারে খেলোয়াড়দের দায় দেখেন না হার্ডম্যান। “আমি তাদের পারফরম্যান্সের সমালোচনা করব না। কারণ, যখন বেলজিয়ামকে কেউ ছাড়িয়ে যায়- অভিযোগ করার মতো তেমন কিছু থাকে না। মাঝে মধ্যে ফল পক্ষে থাকে, আবার থাকে না।”

আগামী রোববার কানাডার পরের ম্যাচ গত আসরের রানার্সআপ ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে। যারা নিজেদের প্রথম ম্যাচে মরক্কোর বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close